শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ময়নাতদন্তের বিষয়টি এবং বিমানবন্দর থানাপুলিশ মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে জানায়।
ময়নাতদন্ত করেন ঢামেকের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ, প্রভাষক কবির সোহেল ও প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস।
ময়নাতদন্ত শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, হামলাকারীর দেহ থেকে বুক ও পেটের অংশ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিস্ফোরণে উড়ে গেছে তার দুই হাতের কনুই পর্যন্ত।
বিস্ফোরণেই হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে মেডিকেলবোর্ড প্রধান বলেন, মরদেহের বুক ও পেটে বেল্ট এবং ইলেকট্রিক তার পাওয়া গেছে। সেজন্য বলা যাচ্ছে, তার বুকে বা পেটে বোমাটি বাঁধা ছিল।
রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণটি হয়েছিল কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি, ময়নাতদন্ত বলছে হামলাকারী নিজেই বিস্ফোরণ ঘটান।
ডা. সোহেল মাহমুদ আরও জানান, মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দাঁত, চুল এবং ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে শক্তিবর্ধক কোনো মাদক সেবন করেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে সেজন্যও রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের আগে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর থানাপুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। সেখানে হামলাকারীর বয়স বলা হয় ২৫ বছর।
এদিকে, শুক্রবার দুপুরের এ বিস্ফোরণের ঘটনায় রাতেই বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২১। মামলার বাদী র্যাব সদরদফতরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুজ্জামান।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবারের ওই বিস্ফোরণে ২ র্যাব সদস্যও আহত হন। হামলার উদ্দেশে বোমা বহনকারী ওই ব্যক্তি দেয়াল টপকে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করেন। র্যাব সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে ঘটনাস্থলেই বিস্ফোরণ ঘটান ওই ব্যক্তি। এতে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭/অাপডেট ১৫২৬ ঘণ্টা
এজেডএস/এসজেএ/এইচএ/জেএম