ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

হাসিনার সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
হাসিনার সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো গভীর করতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। বহুমাত্রিক ও গতিশীল সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ সফরে অনেক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে। উন্নত প্রযুক্তির সহযোগিতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যোগ করবে নতুন মাত্রা।

আইটি, আইটিইএস, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ ও বেসামরিক পারমাণবিক জ্বালানি বিষয়ে দু’দেশের উল্লেখযোগ্য বোঝাপড়া হতে পারে এ সফরে। জল ও স্থল সীমান্ত নিয়ে হতে পারে সমঝোতামূলক বোঝাপড়া।

সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার বিষয়েও দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। এরই মধ্যে রেয়াতি ঋণের আওতায় বাংলাদেশকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। মাত্র ১ শতাংশ সুদের এ ঋণ বাংলাদেশে বড় প্রকল্প গ্রহণের জন্য বেশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশে শ্রেয়তর নাগরিক সুযোগ-সুবিধার জন্য এরই মধ্যে বেশ ক’টি টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পও নিয়েছে ভারত। শহুরে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের জন্য রাজশাহী, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সাক্ষর করেছে বেশ ক’টি সমঝোতায়। পরিকল্পনায় আছে এ ধরনের আরো সহযোগিতা প্রকল্প গ্রহণের।     

ভারত এরই মধ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার দিয়েছে বাংলাদেশকে। ভারতে এখন বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে। বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে, শিগগিরই এ অঙ্ক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে। উপরন্তু এ অঞ্চলে ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই সবচেয়ে দ্রুততম। পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে এ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গোটা অঞ্চলকেই আরো সমৃদ্ধ করে তুলবে।

উভয় দেশের মধ্যে নিয়মিতই উচ্চ পর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধি বিনিময় হয়। নৌ ও বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড প্রধান ২০১৬ সালে ভারত সফর করেছেন। প্রথমবারের মতো ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা জোরদারে উভয় দেশ একযোগে কাজ করছে। আসন্ন সফরে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় এ ইস্যু বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হতে পারে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে এসে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানান। এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যান।

আসন্ন সফরে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। তার আতিথ্য গ্রহণ করলে শেখ হাসিনাই হবেন দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকা প্রথম বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বরণ করে নেওয়া হবে। পৌছানোর সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হবে গার্ড অব অনার। তাকে বরণ করে নেবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজ আয়োজন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে রাষ্ট্রীয় ভোজসভা আয়োজন করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতিও।

২০১৫ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছিলো সেগুলো নিয়েও এ সফরে উল্লেখযোগ্য আলোচনা ও অগ্রগতি হতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
জেডএম/

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।