ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ত মানুষ তারা। যেতে হবে গন্তব্যে।
দুই স্কুল ছাত্রকে দেখা যায় দুটি বাসের সামনে দিয়েই শরীরকে বাঁকিয়ে নিয়ে লম্বা পা ফেলে দে ছুট। যা ছিলো ভীষণ ঝুঁকির। বাসেরও গতিও মন্থর নয়।
এক দম্পতিকে দেখা যায় তাদের শিশু সন্তান কোলে স্বামী ছুটছেন। স্ত্রী তার পেছনে শার্ট টেনে ধরে ছুটছেন একই পথে। অদূরে মাইক্রোবাস। আর তার সামনে দিয়ে ত্রস্ত পায়ে ছুটছেন দুই পোশাকধারী পুলিশ সদস্য।
রাজধানীর প্রগতি সরণির নতুন বাজার মোড়ের এই অংশটিতে পথচারিদের পারাপারের প্রবনতা আগে থেকেই। ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার ঠেকাতে কিছুদিন আগেও বাঁশ কাঁটাতার সরিয়ে লাগানো হয় লোহার ফ্রেমে টিনের বেড়া।
তাও ভেঙ্গে পথচারী পার হয়ে যান এই ব্যস্ত সড়ক। সে চিত্রও ধরা পড়ে বাংলানিউজের ক্যামেরায়।
মৌলবী গোছের একজনকে দেখা যায় দুটি বাঁশের মাঝখানে সামান্য ফাঁকা দিয়ে শরীরটাকে গলিয়ে দিচ্ছেন ওপারে যাওয়ার জন্য।
লুঙ্গিপরা কোমরে গামছা বাঁধা একজন, দিনমজুরই হবেন, তিনিও শরীরটাকে অর্ধেক বাঁকা করে একইপথে পার হয়ে গেলেন সফলভাবে। তার সামনে ও পেছনে আরও চার জন। তারাও একইভাবে পার হওয়ার অপেক্ষায়।
স্কুল কলেজগামীরা্ই যেনো বেশি বেপরোয়া। কেউ মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে, কেউ চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে ঝাপ দিতে উদ্ধত, আর এই কাজে ছাত্রীরাও কম যায় না।
বাংলাদেশ সময় ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
এমএমকে