ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

আত্মঘাতী একা নয়, সঙ্গে ছিল ৭-৮ জন!

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
আত্মঘাতী একা নয়, সঙ্গে ছিল ৭-৮ জন! বিস্ফোরণের ঘটনার পর আশকোনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান। ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর আশকোনায় র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ একজন চালালেও তার আশেপাশে ছিল আরও ৭-৮ জন সহযোগী। বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে এমন তথ্যই উল্লেখ করা হয়েছে। এখন সেই ৭-৮ জনকে চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর থানা পুলিশ। 

শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরের ওই ঘটনায় রাতেই র‌্যাব সদরদপ্তরের ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ফরেন্সিক উইংয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাশেদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এটি দায়ের করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী আইন ২০১৩) এর ৬(১)(২)/৮/১০/১২/১৩ ধারায়।


 
মামলা এজাহারে বলা হয়েছে, আশকোনায় র‌্যাব ফোর্সেস ব্যারাকে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলের কাছে রাস্তার পাশ থেকে ৭-৮ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করে পালিয়ে যায়। সেই ৭-৮ এবং তাদের অন্য সহযোগীরা একে অপরের প্ররোচণায় সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র করে মারাত্মক বিস্ফোরকদ্রব্য বহন ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে র‌্যাব সদস্যদের গুরুতর জখম করে হত্যার চেষ্টা চালায়।  

মামলায় আসামি হিসেবে উল্লেখ করা ওই ৭-৮ জনের বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরে আযম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, হামলাকারীর সহযোগীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তাদের চিহ্নিত করা গেলে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।
 
পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মামলার এজাহারে বলা হয়, শুক্রবার জুমার দিন হওয়ায় দুপুরে ব্যারাক সংলগ্ন উত্তর পাশে ফোর্সের উন্মুক্ত গোসলখানায় গোসল করছিলেন এসআই রাশেদুজ্জামান। সেখানে র‌্যাবের অন্যান্য সদস্যরা গোসল ও অযুর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।  

দুপুর ১২ টা ৫৯ মিনিটে ল্যান্স কর্পোরাল মিজানুর রহমান একজন অজ্ঞাত লোককে উত্তর-পূর্ব পার্শ্বের প্রাচীর টপকে গোসলখানার দিকে আসতে দেখেন। তিনি ওই যুবককে চ্যালেঞ্জ করে পরিচয় জানতে চাইলে লোকটি তার ডান হাত বুকের ওপর রাখার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। তখন সবাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।  
 
বিস্ফোরণে ওই আত্মঘাতী হামলাকারীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যারাকের গেটে দায়িত্বরত সদস্যরা সেখানকার সবাইকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। সেখানে ল্যান্স কর্পোরাল মিজান ও কনস্টেবল আরিফের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। কনস্টেবল আরিফ বিকট শব্দে কানে আঘাত পান। বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে পাশের টিনের বেড়া ও পানির হাউজের প্রাচীর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলাকারীর ব্যাগটি মরদেহের ৭-৮ গজ দূরে পড়েছিল। ওই ব্যাগ থেকে একটি বড় আকৃতির তাজা বোমা পাওয়া যায়।
 
আত্মঘাতীর পরনে কালো প্যান্ট, সাদা ফুল হাতা চেক শার্ট, মাথায় কালো ও হলুদ বর্ডারের কাপড়ের পি-ক্যাপ এবং পেছনে কাঁধে ব্যাগ ঝুলানো ছিল।  
 
এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বাংলানিউজকে বলেন, হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত এবং তার সহযোগীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭/আপেডট ২০১৬ ঘণ্টা
এসজেএ/এইচএ/

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।