ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রেলক্রসিং যেন মৃত্যুফাঁদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
রেলক্রসিং যেন মৃত্যুফাঁদ রাজবাড়ী জেলা সদরের বসন্তপুর রেল ক্রসিং এলাকা

রাজবাড়ী: দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ী জেলা সদরের বসন্তপুর রেল ক্রসিং এলাকাটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। কম চওড়া সড়কে ডিভাইডার স্থাপন এবং ডিভাইডারের কাছে স্পিডব্রেকার (গতিরোধক) দেওয়ার কারণে প্রতিনিয়তই এখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। গত ১০ দিনে এ স্থানে পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গাড়িচালক ও স্থানীয়রা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মন্টু বাংলানিউজকে বলেন, অনেক আগে থেকেই বসন্তপুর রেলক্রসিং একটি দুর্ঘটনাপ্রবণএলাকা। কিন্তু এখানে ডিভাইডার দেওয়ার পর থেকে দুর্ঘটনার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।

৩০ ফিট চওড়া সড়কের প্রায় দুই ফিট সড়ক ডিভাইডারই দখল করে রেখেছ। এছাড়া গাড়িচালকদের সতর্ক করার জন্য এখানে যে স্পিডব্রেকার দেওয়া হয়েছে সেটিও ডিভাইডার থেকে মাত্র ২০ ফিট দূরে। ফলে দ্রুতগতির গাড়িগুলো এখানে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়।

রাজবাড়ী জেলা সদরের বসন্তপুর রেল ক্রসিং এলাকা

তিনি আরও বলেন, স্পিডব্রেকারের দূরত্ব যদি ডিভাইডার থেকে ১০০ ফিট দূরে হয় তাহলে গাড়ি চালকরা আগে থেকেই সতর্ক হয়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। এতে দুর্ঘটনাও অনেক কমে যাবে।

জুয়েল মোল্লা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, প্রায় প্রতি রাতেই দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনে আমাদের ঘুম ভাঙে। দুর্ঘটনার অবস্থা এমন আকার ধারণ করেছে যে, আহত মানুষদের জখম বাঁধতে বাঁধতে আমাদের এলাকায় কারও বাড়িতে মনে হয় পুরাতন কাপড় পাওয়া যাবে না। গত ১০ দিনে এখানে পাঁচটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে প্রায় ২০ জন মানুষ আহত হয়েছে।

শিঘ্রই বসন্তপুর রেলক্রসিং এলাকায় মহাসড়ক চওড়া করা এবং দুই পাশের স্পিডব্রেকার দুইটি ডিভাইডারের কাছ থেকে ১০০ ফিট দূরে স্থাপন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন গাড়িচালক ও স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।