রাজধানীর আশকোনায় র্যাবের ব্যারাকের পাশে এবং খিলগাঁওয়ে তল্লাশি কেন্দ্রের সামনে দু’টি জঙ্গিবাদী ঘটনার পর ‘ডিপ্লোম্যাটিক জোন’ বলে পরিচিত গুলশান-বনানীতে এমন নিরাপত্তা বিধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এস এম মোশতাক আহমেদ খানের কার্যালয়ে এ এলাকার হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোর মালিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ডিসি এস এম মোশতাক আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, এ এলাকার হোটেল-রেস্টুরেন্টে আর্চওয়ে, প্রতিবন্ধক গেট ও ল্যাগেজ চেকিং ডিভাইস বসানোর বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব হোটেল-রেস্টুরেন্টে সিসি ক্যামেরা নেই তাদের এ ধরনের ডিভাইস বসানোর কথাও বলা হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে পুলিশের আরেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, পায়ে হেঁটে বা গাড়িতে যেভাবেই হোক, এখন কেউ এসব এলাকার হোটেল-রেস্টুরেন্টে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তা তল্লাশি শেষ করেই ঢুকবেন। নিরাপত্তা তল্লাশির আগে স্বাভাবিক আরেকটি ‘প্রতিবন্ধক গেট’ নির্মাণ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকদের বলা হয়েছে। যেন কেউ চাইলে হঠাৎ করে হোটেল-রেস্টুরেন্টে ঢুকে যেতে না পারে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মূলত আমরা চাইছি চেকিংটা শতভাগ হোক। চেকিং শেষেই কাউকে হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে ‘অ্যালাও’ করা হবে। প্রথমে ‘প্রতিবন্ধক গেট’ এবং পরে আর্চওয়ে ও লাগেজ স্ক্যানার বসাতে হবে হোটেলগুলোকে। তবে লাগেজ স্ক্যানারের দাম বেশি হওয়ায় ছোট রেস্টুরেন্টগুলোতে এটা না বসালেও চলবে। এক্ষেত্রে প্রথমে একটি প্রতিবন্ধকতা গেট ও পরে আর্চওয়ে থাকতেই হবে।
মোটকথা একজন আগত ব্যক্তির সম্পর্কে নিশ্চিত হলেই তাকে হোটেল-রেস্টুরেন্টে ঢুকতে দেবে কর্তৃপক্ষ- জানান ওই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, বৈঠকে গুলশান পুলিশের পেট্রোল ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া পুরো গুলশান এলাকায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের ডিউটি রি-অ্যারেঞ্জ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
এসএ/এইচএ/
আরও পড়ুন
** গুলশান-বনানীর নিরাপত্তা জোরদার, বৈঠকে পুলিশ