স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মার্চ) দিনগত দেড়টার দিকে তার মরদেহ নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ব্রাজিলের সাও পাওলো বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হয়। এর আগে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে রাজধানী ব্রাসিলিয়া থেকে সাও পাওলো বিমানবন্দরে নেওয়া হয় কায়েসের মরদেহ।
ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছে। সূত্রটি বলেছে, মিজারুল কায়েসের মরদেহের সঙ্গে ফ্লাইটে আছেন তার স্ত্রী নাঈমা কায়েস, মেয়ে মানসী ও মাধুরী এবং ব্রাসিলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সুমনা ইকবাল।
এ কূটনীতিকের মরদেহ সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
ওইদিনই সকাল সাড়ে ৮টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে মিজারুল কায়েসের প্রথম নামাজে জানাজা। সেখান থেকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে।
২১ মার্চ (মঙ্গলবার) তার মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে ঢাকায় ফিরিয়ে মিজারুল কায়েসের মরদেহ বনানীতে মা-বাবার কবরের পাশে চিরসমাহিত করা হবে।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কায়েস গত ১১ মার্চ ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন।
এ কূটনীতিক ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ব্রাসিলিয়ায় দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও মালদ্বীপে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সুইজারল্যান্ড, জাপান ও সিঙ্গাপুরেও দায়িত্ব পালন করেন মিজারুল কায়েস। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ২০১২ সালে সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয় তাকে।
বঙ্গবন্ধুপ্রেমিক মিজারুল কায়েসের সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিও গভীর অনুরাগ ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
কেজেড/এইচএ/
