সোমবার (২০ মার্চ) রাত ৮টা পেরুতেই বর্ষণমুখর হয়ে ওঠে রাজশাহী নগরী। কোনো কোনো এলাকায় চলে শিলাবৃষ্টির দাপট।
রাত সোয়া ৯টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা রাজশাহী নগরীর কোথাও বিদ্যুৎ ছিলো না। রাত সোয়া ১১টার পর থেকে নগরীর কিছু-কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ আসতে শুরু করে। রাজশাহীর কাটাখালী গ্রিডের ট্রান্সফর্মারে ত্রুটির কারণে বৃষ্টি শুরুর পর এই বিপর্যয় দেখা দেয়।
কাটাখালী কন্ট্রোল রুম থেকে রাতে মুজিবর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, রাতে বৃষ্টির সঙ্গে রাজশাহীর কোনো কোনো এলাকায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। এতে আমের গুটির ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাজশাহীতে ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। রাত ৮টার পর থেমে থেমে বৃষ্টি চলছে। রাত ১০টা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শহীদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। তার প্রভাবে সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকলেও সন্ধ্যা ও রাতে বৃষ্টি হয়েছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে। আকাশে এখনও মেঘ রয়েছে রাতেও ভারীবর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি জানান, সোমবার রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ভোর ৬টায় ৯০ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় ৬০ শতাংশ।
শিলাবৃষ্টির ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালি বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়ে যাবে, এমন ফসল মাঠে নেই। তবে শিলাবৃষ্টির কারণে আমের গুটির কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
এসএস/টিআই