সোমবার (২০ মার্চ) সরেজমিনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে মশার উপদ্রবের কথা জানা যায়।
তারা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে মশার উপদ্রব।
মিরপুর-১০ নাম্বারের বাসিন্দা রবিউল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রাতের বেলায় বিছানায় ঘুমাতে গেলে মশার গুন-গুন শব্দ আর কামড় খাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখন দিনের বেলাতেও মশার উপদ্রবে বাসায় বা অফিসে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন যে এতো স্প্রে দেয়, এতে কোনো ফল পাচ্ছি না।
রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা মিজান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি শুরুর প্রথম দুইদিন তেমন মশার উপদ্রব ছিল না। কিন্তু বৃষ্টির পরে যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এর থেকে প্রচুর মশার বংশবিস্তার হয়েছে। ফলে এখন দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে রক্ষা পাচ্ছি না।
রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার এলাকার মুদির দোকানি শরিফ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মশা বেড়ে যাওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে মশার কয়েল এবং স্প্রের বিক্রি বেড়েছে। মশার উৎপাতে আমরা নিজেরাও দিন-রাত কয়েল জ্বালিয়ে রাখি।
নগরীতে মশার উপদ্রব নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগের তুলনায় মশার উপদ্রব অনেক কম নগরীতে। তবে বৃষ্টির কারণে কিছু-কিছু অঞ্চলে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। তবে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, কিছু-কিছু এলাকায় হয়তো মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। তবে তা এখনো ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। মশা নিধনে নিয়মিত মশা নিধন কর্মীরা সঠিকভাবে ওষুধ ছিটাচ্ছেন।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এস এম এম সালেহ ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আগের তুলনায় মশার উপদ্রব কমেছে। কিন্তু কোনো কোনো এলাকায় যদি বেড়ে থাকে, তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
নগরবাসী জানাচ্ছেন, সিটি করপোরেশনের স্প্রেতে মশা আসলে মরে না। ফগার মেশিনের বিকট শব্দ ও ধোঁয়ায় মশা কিছুক্ষণের জন্য দিশা হারালেও একটু পরে আবার উড়াল দিয়ে চলে যায়।
মাঠ পর্যায়ের মশা নিধন কর্মীরা সঠিকভাবে ওষুধ ছিটাচ্ছেন কিনা এ নিয়ে অনেকে সংশয়ও প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
এমএ/টিআই