ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বর্ষার আগেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভোগান্তির হাতছানি

মো. রাজীব সরকার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
বর্ষার আগেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভোগান্তির হাতছানি মহাসড়কে ভোগান্তির হাতছানি, ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলছে ফোরলেন ও দু’টি ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ। গত দু’দিনের হালকা বৃষ্টিতে এ মহাসড়কে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। কাদা এবং বৃষ্টির পানি জমে বেড়েছে জন দুর্ভোগ। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

বর্ষার আগেই হালকা বৃষ্টিতে মহাসড়কটির অবস্থা যা পরিণতি দাঁড়িয়েছে, মনে হচ্ছে বর্ষার আগাম চরম ভোগান্তির হাতছানি। বর্ষাকালে এমন অবস্থা থাকলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না মানুষের।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া বাইপাস থেকে এলঙ্গা পর্যন্ত চলছে ফোরলেন ও কয়েকটি ফ্লাইওভারের কাজ। এরমধ্যে গাজীপুর সিটি করপেরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় একটি ও কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় একটি ফ্লাইওভার ও কয়েকটি সেতুর কাজ চলছে। এছাড়া পুরো মহাসড়কের দু’পাশে বালু ও মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ চলছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চারলেনের কাজ চলায় পুরো সড়কটিই এলোমেলো। কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা এলাকায় ফ্লাইওভারের কলাম উঠানো প্রায় অর্ধেক শেষ হয়েছে। ইটের সলিং ও খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বৃষ্টির পানি জমে কাদায় পরিণত হয়েছে মহাসড়কটিতে। এতে হেঁটে কিংবা যানবাহনে করে চলাচল মুশকিল হয়ে পড়েছে। ফলে পথচারী ও বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বেহাল দশা, ছবি: বাংলানিউজপলাশ পরিবহনের বাস চালক সুরুজ মিয়া বলেন, গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে নবীনগর-শিমুলতলী পর্যন্ত বাস চালান তিনি। এমনিতেই গাজীপুরের কোনাবাড়ী ও কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে মহাসড়কে। এতে গাড়ি চালানো অনেক কষ্ট হয়ে পড়ে। কাদা ও পানি থাকায় যাত্রীরা বাসে উঠতেও পারে না নামতেও না। সড়ক পারাপার হতেও নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়ে পথচারীরা। ফুটপাতে দোকানপাট গড়ে উঠায় পথচারীরা মহাসড়কে দিয়ে হেঁটে চলাচল করে। ফলে গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে।

গাজীপুর সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসড়কের চারলেনে উত্তীর্ণ করার কাজ চলছে। বর্তমানে সাসেক প্রজেক্ট মহাসড়কটির দেখাশোনা করছে।

এ ব্যাপারে সাসেক প্রজেক্টের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রুকুনুজ্জামান বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টুলেন আগে যেমন ছিলো তেমনি আছে। শুধু কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা এলাকায় মহাসড়কের মাঝখানে ভেঙে ফ্লাইওভারের কাজ করা হচ্ছে। তবে দুইপাশে দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বর্ষার সময় যানবাহন চলাচল ও মানুষের কিছু সমস্য হবে। আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চারলেন উত্তীর্ণের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
আরএস/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।