ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রাবাড়ী মহাসড়ক যেন একটি খাল

স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
যাত্রাবাড়ী মহাসড়ক যেন একটি খাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে উন্নয়নের কাজ। তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ। ছবি- শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উন্নয়নের নামে রাস্তার একপাশে খালের মত গর্ত করে রাখা হয়েছে। পাশেই রয়েছে বৃহৎ দু’টি কাঁচামালের আড়ত। রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্তের কারণে মালবাহী গাড়িগুলো মহাসড়ক দখল করে রাখছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ।

সরকারের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক পথে যোগাযোগ সহজ, দ্রুত, যানজটমুক্ত ও উন্নততর হবে।

এছাড়া যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত এবং যাত্রাবাড়ী থেকে ডেমরা রোডের ভাঙ্গা প্রেস পর্যন্ত রাস্তার একপাশে খালের মত গর্ত করে রাখার কারণে সড়কে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে।  
সড়কের দুইপাশেই অসংখ্য খানাখন্দে জমেছে আছে পানি।                                          দুর্গন্ধ আর দুর্ভোগে সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীরা।  ছবি- শাকিল আহমেদ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাছের আড়তদার মাইনুউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গত এক মাস ধরেই এই রাস্তাটির এ হাল করে রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপরেশন (ডিএসসিসি)।   আরও ছয় মাস সময় লাগবে তাদের এই রাস্তাটি মেরামত করতে।

তিনি বলেন, এক মাসেই ব্যবসার অবস্থা যা হয়েছে আগামী ছয় মাসে চালান থাকবে কি না সন্দেহ আছে। আমরা কোন রকম বাঁশ দিয়ে মাঁচা বানিয়েছি মাছ নিয়ে উঠানামা করার জন্য। কিন্তু সেটাও ভেঙ্গে ফেলছে সিটি করপোরেশনের লোকেরা।
 বাঁশ দিয়ে বানানো মাঁচায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে উঠানামা করছে ব্যবসায়ীরা।  যে কোনা মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।  ছবি- শাকিল আহমেদ
ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আশরাফ উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, যানজট নিরসনে পুলিশ আন্তরিক। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যাত্রাবাড়ী এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ মাইক দিয়ে নির্দেশনা দিচ্ছে।

অন্যদিকে, উত্তর যাত্রাবাড়ী আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর গেটের বিপরীতে টোল প্লাজার দক্ষিণ দিকের রাস্তায় পানি জমেছে। ফলে যানবাহনগুলোকে শুকনো জায়গা দিয়ে একটু একটু করে এগোতে হচ্ছে। তাছাড়া ওভারব্রিজের দক্ষিণ পাশের মহাসড়ক পরিণত হয়েছে ট্রাক-টেম্পোস্ট্যান্ডে। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর যাত্রাবাড়ী মহাসড়কের রাস্তার এই বেহাল অবস্থার কারণে যাতায়াতকারী অধিকাংশ যানবাহন ফ্লাইওভারের নিচের এ সড়ক ব্যবহার করে থাকে।
মহাসড়ক উন্নয়নে করা গর্তের কারণে  তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ।  ছবি- শাকিল আহমেদ
রাজধানীর আশপাশের কয়েকটি জেলার যানবাহনও যাত্রাবাড়ীর এই চৌরাস্তা হয়ে যাতায়াত করে। আশপাশে ও বিভিন্ন স্থানীয় রুটে আড়াই শতাধিক টেম্পো চলাচল করে। চৌরাস্তা থেকে মেট্রো সিএনজি স্টেশন হয়ে ধোলাইরপার এবং চৌরাস্তা থেকে টোলপ্লাজা হয়ে কুতুবখালী পর্যন্ত সড়কে ফ্লাইওভারের নিচে ও বাইরের দুইপাশের সড়কেও রয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। কোথাও কোথাও পানি জমেছে, এতে দুর্ভোগের শেষ নাই সাধারণ মানুষ আর পথ চলাযাত্রীদের।
 অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই চলছে বেচা-কেনা।  ছবি- শাকিল আহমেদ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ঠিকাদার রনি অভিযোগ করে বাংলানিউজকে জানান, আমরা রাত দিন কাজ করছি। কিন্তু রাত তিনটা থেকে শুরু হয় সকাল নয়টা পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। তাই আমরা ঠিকমত কাজও করতে পারছি না।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
এসআরএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।