মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আনোয়ার লতিফ খান বলেন, মিরপুর ও কাফরুলে সরকারি স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা।
এর আগে সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডা এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ জঙ্গিকে আটক করেন ৠাব-১০ এর সদস্যরা।
প্রথমে গ্রেফতার করা হয় অলিউজ্জামান অলি ও আনোয়ারুল আলমকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে, সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে সালেহ আহমেদ শীষ, আবুল কাশেম ও মোহন ওরফে মহাসীনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অলিউজ্জামান ও অনোয়ারুল, সারোয়ার ও তামিম গ্রুপের সদস্য। তারা দু’জন বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক, বোমা তৈরির সরজ্ঞাম, জঙ্গিবাদী বই , ডামি পিস্তল, বন্দুক এবং নগদ তিন লাখ চৌদ্দ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আনোয়ার লতিফ খান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা জঙ্গি সংগঠনের একটি সেলের সদস্য। এ সেলের নিয়ন্ত্রক ছিলেন অলিউজ্জামান। নাশকতা পরিচালনায় সেলের প্রধান মনির ও সালমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
হলি আর্টিজান হামলার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি-না, কোন সরকারি স্থাপনায় হামলা, কি ধরনের হামলা, অস্ত্রের যোগান ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে র্যাবের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনারা যে প্রশ্নগুলো করেছেন, সেগুলোর সঠিক জবাব আমাদের কাছে নেই। কেবলমাত্র গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের পরেই কেবল এ সকল বিষয়ে তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে’।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আনোয়ারুল আলম বোমা তৈরিতে পারদর্শী। আবুল কাশেম সংগৃহীত আরবিতে লেখা বিভিন্ন উগ্রবাদী মতাদর্শ বাংলায় ভাষান্তর করে ভাইরাল আকারে নেটে ছড়িয়ে দিতেন। সালেহ আহম্মেদ এক বছর আগে চট্টগ্রামে অস্ত্র চালানোর ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন আর মো. মোহন গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রামে অস্ত্র প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেন।
**রাজধানীতে ৫ জঙ্গি আটক
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
আরএটি/এএসআর