মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান বাবু। জেলা জজ হাসিনা রওশন জাহানের ট্রাইব্যুনাল এ আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাবু মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার আনসার আলীর ছেলে। নিজেকে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের ( বামাকা) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বলে পরিচয় দিতেন তিনি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাবুর স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা (৩৮), মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পৌলী গ্রামের মৃত. ফাইজুদ্দিনের পুত্র ফালাক (৩০) ও একই গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র পিন্টু (২৫)।
গত বছরের ৩০ মার্চ সোনালী আক্তার বাদী হয়ে মানবপাচার প্রতিরোধ ও অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে বাবুর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছরের ২৩ জানুয়ারি বাদিনী সোনালী আক্তার ও তার স্বামী মো. রুবেল দেওয়ানকে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা নেন। পরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের যৌনপল্লীতে নিয়ে তাদেরকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। ওই যৌনপল্লী থেকে পালিয়ে গেলেও ভারতীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তারা। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে চারমাসের কারাদণ্ড হয় তাদের।
জামিনে দেশে ফিরে বাদিনী ও তার স্বামী টাকা ফেরত চাইলে বাবু তাদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশি হয়রানির ভয় দেখান।
বাবুর বিরুদ্ধে নারীপাচার ছাড়াও চাঁদাবাজি, নিজ বাড়িতে অবৈধ যৌনপল্লী নির্মাণ, নারী নির্যাতন ও ভুয়া তালাকনামা তৈরির মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
এএসআর