এটি কোনো ছবি আঁকার ক্যানভাস, খাতা বা বোর্ড নয়- রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর (সংসদ ভবনের দক্ষিণ অংশ) সড়ক।
২৫ মার্চ ভয়াল কালরাতকে স্মরণ করতেই ঢাকার এই সড়কে প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কনের।
এক একটি বীর যোদ্ধার ছবি আঁকা হচ্ছে, আর পাশে দাঁড়িয়ে তা ক্যামেরা বন্দি করছিলেন আলোকচিত্রী রাফিয়া আহমেদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরই প্রাণের টানে এই চিত্রাঙ্কনে আসি। ছবি তুলি। গণহত্যার ভয়াল বিষয় উপস্থাপন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের বিষয়টাই এখানে তুলে ধরা হয়। আমি মনে করি এখানে সবারই আসা উচিত।
স্বাধীনতা শব্দটার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস, ভালোবাসা, আনন্দ, উচ্ছ্বাস, প্রাণ ফিরে পাওয়ার স্বাদ আছে- সঠিক-শুদ্ধ ইতিহাস জানতে পারলে এই স্বাধীনতার মাহাত্ম্য আরও বাড়ে বলে মনে করেন তিনি।
ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভর (ইউডা) চারুকলা বিভাগের আয়োজনে এই চিত্রকর্ম। অসাম্প্রদায়িক ঐক্যের এই আয়োজন যত দিন যাচ্ছে জনগণের আরও কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। প্রতি বছরই বাড়ছে শিল্পীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি।
চিত্রশিল্পী চারু পিন্টুর সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেলো। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের সাদা কালো লাল রঙে রোড পেইন্টিং করছিলেন তিনি। ছবির বিষয়বস্তু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রি।
তিনি জানান, ২৫ মার্চের কালরাতে বাঙালির ওপর ভয়ঙ্কর, নৃশংস ও বিভীষিকাময় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। শহীদ স্মরণ এবং গণহত্যার প্রতিবাদে ২০০৩ সাল থেকে এই ছবি আঁকার আয়োজন।
সূর্যাস্তের পর থেকে শুরু হওয়া আঁকাআঁকি চলবে ২৬ মার্চ সূর্যোদয় পর্যন্ত। ছবি আঁকা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জেগে থাকছে সারা রাত, এর মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭
আরএটি/আইএ