রোববার (২৬ মার্চ) সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও শিখা চিরন্তন এলাকায় আসতে শুরু করেন বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীরা।
দুপুর ১টার পর থেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী বাংলানিউজকে জানালেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের ইতিহাস ও ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে বর্বরতা চালিয়েছিলো, সেই সব ইতিহাস জানার জন্য তারা এসেছেন। ওই রাতে নিহত সব বাঙালির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেও এখানে আগমম তাদের। শুধু নিজেরাই নন, অনেকে আবার নিজের সন্তানদের নিয়ে এসেছেন।
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সোমায়া আক্তার শান্তা শনিবার (২৫ মার্চ) সিলেট থেকে রাজধনীতে এসেছেন মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য।
তিনি বাংলানিজকে বলেন, সিলেটে চলা জঙ্গি ভয়াবহতাকে উপেক্ষা করে রাজধানীতে এসেছি শিকড়ের টানে। পঁচিশে মার্চ কালরাতে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে যারা খুন হয়েছেন। তাদের এই অত্মদান, মুক্তিযুদ্ধের আগের ও পরের ঘটনাগুলোই আমাদের মূল শিকড়। আর আমরা যেহেতু বাঙালি, তাই নিজেদের শিকড়কে শ্রদ্ধা জানাতে আসতেই হবে।
আদাবরের বাসিন্দা জাকিয়া বেগম নিজের ৫ বছরের মেয়ে মারিয়াকে স্বাধীনতা জাদুঘরে এসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনী দেখান।
জাকিয়া বেগম বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের অনেকেই স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানে না। ফলে তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আমার সন্তান যেন এমনটা না করে, সেজন্য এখানে তাকে নিয়ে আসা।
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী মো. হাবিবুল্লাহ মেজবা বাংলানিজকে বলেন, আজকে দিনের সঠিক ইতিহাস আমাদের সবাইকে আরও বেশি করে জানাতে হবে। যাতে করে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন এলাকায় আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এরমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ভিডিও দেখানো হয়। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল দেশাত্মবোধক গান বাজিয়ে আগত দর্শনার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭
এমএ/টিআই