শনিবার (২৫ মার্চ) রাতে অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ ব্যাপারে সচেতনতামূলক পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে আরএমপি।
এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘বাড়ি, মেস, হোটেল ভাড়া ও মাদক সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রচারণা’।
এতে কোনো অপরাধী যেনো তার প্রকৃত তথ্য গোপন করে বাড়ি, ফ্ল্যাট, মেস ও হোটেল ভাড়া নিতে না পারে সেই ব্যাপারে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
বাড়ি, ফ্ল্যাট, মেস বা হোটেল ভাড়া নিয়ে কেউ যদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করে তা টের পাওয়া মাত্রই মহানগর পুলিশের কন্ট্রোল রুম বা কাছাকাছি থানাকে অবহিত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য কেউ চাইলে তার নাম পরিচয় গোপন রেখেও তথ্য জানাতে পারবেন।
এজন্য অপরাধী তথ্য বা অভিযোগ লিখে তা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বসানো আরএমপি'র তথ্য বক্সে ফেলার জন্য বলা হয়েছে ওই ফেসবুক প্রচারণায়। এছাড়া কেউ চাইলে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে গুগোল প্লে স্টোর থেকে `RMP App' নিয়ে তার মাধ্যমে তথ্য বা ছবি পাঠাতে পারবেন।
আর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ফেসবুকে পেজে তথ্য দেওয়ার সুযোগ তো থাকছেই। উল্লেখিত বিষয় ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ে কোনো তথ্য থাকলেও তা জানাতে মহানগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে আরএমপির ওই ফেসবুক প্রচারণায়।
বিষয়টি জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মূখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে বলেন, দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাড়ি, মেস ও হোটেল ভাড়া নিয়ে পুলিশকে এবার হার্ডলাইনে যেতেই হচ্ছে। তাই ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে কারও আর অবহেলার সুযোগ নেই।
এ নিয়ে কোনো রকম অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত বছর থেকে নির্দিষ্ট ফরমে ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের নির্দেশে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও প্রচারণা শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে নগরবাসীর সচেতনতা বাড়াতে ফেসবুকে দেওয়া এ লিফলেট ছাপিয়ে শিগগিরই তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলেও জানান মহানগর পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এর আগে ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকায় সব ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকদের ছবিসহ তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে মহানগর পুলিশ।
গত বছরের ০৯ জুন মো. শফিকুল ইসলাম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তিনি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ করেন।
বর্তমানে এর জন্য মহানগরীর চার থানা ও বিট পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/