নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে নির্বাচনের সব প্রচারণা বন্ধ করতে হয়। কুসিক ও সুনামগঞ্জের ওই দুই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টায়।
সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপ-নির্বাচনের সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ২২ জনের ফোর্সে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জনের ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। আর পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম ৪৪টি, স্ট্রাইকিং টিম ১৫টি, র্যাবের ১৫টি টিম ও ৪ প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত থাকবে।
এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনেও সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ২২ জনের ফোর্স এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জনের ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। আর পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম ২৭টি, স্ট্রাইকিং ৯টি নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া র্যাবের ২৭টি টিম ও ২৬ প্লাটুন বিজিবিও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত চারদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সম্পূর্ণ ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সম্পন্ন হয়েছিল। এবার ইভিএম ব্যবহার করছে না নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনে ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। মোট ১০৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬২৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা, বিএনপির বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জাসদ মনোনীত প্রার্থী শিরিন আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১৬৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে সুনামগঞ্জ-২ আসনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছায়েদ আলী মাহবুব হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৪৩০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৮ জন আর মহিলা ভোটার ১ লাখ ২৬ হাজার ২০২ জন।
দিরাই ও শাল্লা উপজেলা নিয়ে সুনামগঞ্জ-২ আসনটি গঠিত। ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনের ১১০টি ভোটকেন্দ্রের ৫০২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস