সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জয়নুল আবেদীনের আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাজীব গান্ধী এ হত্যার দায় স্বীকার করেন।
রাজীব গান্ধী জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুর ভূতমারি গ্রামের মাওলানা ওসমান গণি মণ্ডলের ছেলে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম শফিক বাংলানিউজকে জানান, ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই রাতে সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি বাজার এলাকায় জেএমবি সদস্য ফজলে রাব্বীকে (৩০) মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে চার দুর্বৃত্ত। এ অবস্থায় ফজলে রাব্বীকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দুইটার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত রাজীবকে সোমবার বিকেলে জবানবন্দি দেয়ার জন্য আদালতে হাজির করে সিআইডি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ফজলে রাব্বী নিহত হওয়ার কিছুদিন আগে জেলে থেকে বের হন। এরপর তিনি জেএমবি ছেড়ে সুপথে আসেন। মূলত এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে রাজীব গান্ধী ও তার সহযোগীরা তাকে গুলি করে হত্যা করেন বলে জবানবন্দি দিয়েছেন রাজীব।
নিহত ফজলে রাব্বী জেলার সাঘাটা উপজেলার বসন্তেরপাড়া গ্রামের সাদাকাস আলীর ছেলে।
এর আগে, বিকেলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মাহবুবর রহমান ডিপটিকে গুলি করে হত্যা মামলায় রাজীব গান্ধীকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় সিআইডি পুলিশ। এরপর তাকে জেএমবি সদস্য ফজলে রাব্বী হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে হাজির করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
এসআই