নির্যাতনে অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন উপজেলার মালগাড়া বালাটারী এলাকার এনামুল হক। তিনি মাদক ব্যবসায়ী বলে পরিচিত।
অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, কয়েকবছর আগে নুর বানুর সঙ্গে বিয়ে হয় এনামুল হকের। বিয়ের সময় মেয়ের বাবা ৮০ হাজার টাকা যৌতুক দেন। বিয়ের কিছু দিন পর আবারও দুই লাখ টাকা ও একটি মোটর সাইকেলের দাবি করেন এনামুল। কিন্তু সেই বায়না মেটাতে ব্যর্থ হলে নুর বানুর ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ মার্চ রাতে হাতে-পায়ে রশি বেঁধে এনামুল বেধড়ক মারপিট ও গোপনাঙ্গে আঘাত করে রক্তাক্ত করেন নুর বানুকে। বেঁধে রাখেন ঘরের ভেতরে। স্থানীয়দের দেওয়া খবরে পরদিন সকালে তার বাবা জয়নাল মেয়েকে দেখতে গেলে তাকেও আটকে রাখার চেষ্টা করেন এনামুল।
পরে স্থানীয়দেরই সহায়তায় জয়নাল ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে নুর বানু’র স্বামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ গৃহবধু নুর বানুকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
আদিতমারী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হামজা বাংলানিউজকে জানান, গৃহবধু নুর বানু’র শরীরে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেরে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে।
হাসপাতালে বেডে থাকা নুর বানু বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন, এনামুল কোনো কারণ ছাড়াই তার হাত পা বেঁধে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে নির্যাতন করেছে।
নুর বানুর পরিবারের অভিযোগ, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এনামুল ও তার পরিবারে সদস্যরা।
এনামুল মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় তার সঙ্গে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সখ্য থাকার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে নুর বানুর পরিবার।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
এমএ/এইচএ/