মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে মিন্টু রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
আব্দুল বাতেন বলেন, প্রতিটি প্রশ্নপত্র ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতো।
তিনি বলেন, প্রিন্সিপাল মোজাফ্ফর হোসেন এই চক্রের মূল হোতা। তার পরিকল্পনা মতেই ফেসবুকে বিভিন্ন সাইড খুলে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হতো। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য নেওয়া হতো ৫’শ থেকে ৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেল, মোজাফ্ফর হোসেন ছাড়াও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ৪ শিক্ষক ১ অফিস সহকারী ও ৪ ছাত্রসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে ডিএমপির ডিবি পশ্চিম বিভাগ। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি, Imo, What’s app এর মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রশ্নপত্র দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাবলিক পরীক্ষার পূর্বে ভূয়া প্রশ্নপত্র অনলাইনে পোস্ট করে প্রতারণা করে আসছিলো।
এর আগে ২৭ মার্চ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সাতরাস্তা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার অন্য ৮ জন হলেন- মো. হামিদুর রহমান (শিক্ষক কোনিয়া কোচিং সেন্টার টঙ্গী), মো. জাহাঙ্গীর আলম (গণিত শিক্ষক সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মো. আতিকুল ইসলাম (এম এ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ), মো, আব্দুল মজিদ (অফিস সহকারী এম এ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ), আরিফ হোসেন (ছাত্র), সাইদুর রহমান (ছাত্র) , রাকিব হোসেন (ছাত্র) , ও তানভীর হোসেন (ছাত্র)।
গ্রেফতারদের কাছ থেকে ভূয়া প্রশ্নপত্র ইমেজের স্ক্রিনসট, ভূয়াপ্রশ্নপত্র ও বিভিন্ন মডেলের ৯টি মোবাইলফোন সেট জব্দ করা হয়।
** ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপরাধে অধ্যক্ষসহ আটক ৯
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
আরএটি/বিএস