পাশাপাশি আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে সেই টাকা আদায় করে ভিকটিমকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত মফিজ উদ্দিন নালিতাবাড়ী উপজেলার সিধুলি গ্রামের মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার কয়রাকুড়ি গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা-মা ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করেন। এ কারণে সে নিজ বাড়িতে দাদীর কাছে থাকত। ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় দাদী ফিরোজা বেগম বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যান। এসময় পাশের সেচ মেশিনের পাম্পচালক মফিজ উদ্দিন তাদের বসতঘরে ঢুকে ওই কিশোরীকে তুলে বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। গোসল সেরে ফিরোজা বেগম ঘরে নাতিকে না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করলে ধর্ষক মফিজ উদ্দিন পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষক মফিজ উদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে দাদী ফিরোজা বেগম নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত) ৯ (১) ধারায় ধর্ষণ করার অপরাধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার একমাত্র অভিযুক্ত মফিজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ২৮ মার্চ, ২০১৭
আরএ