এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা পাঠিয়েছে সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বিচার শাখা থেকে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারীদের নিরাপদ কৈশর নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছেন।
“কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নোটারি পাবলিক হতে নাবালক ছেলে মেয়েদের বিবাহ সংক্রান্ত এফিডেফিট সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ সকল এফিডেফিটে প্রকৃত বয়সের চেয়ে অধিক বয়স উল্লেখ করা হচ্ছে এবং এর ওপর ভিত্তি করে বিবাহ নিবন্ধকগণ বিবাহ কার্য সম্পন্ন করছেন। ”
চিঠিতে নোটারি পাবলিক ও বিবাহ নিবন্ধকদের বাল্য বিবাহের রোধের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছ, বাল্য বিবাহ রোধের এই মহৎ কর্মসূচিতে নোটারি পাবলিক ও বিবাহ নিবন্ধকগণ সহায়তার পরিবর্তে অনেক ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন।
এমতাবস্থায়, বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিয়ের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে জন্ম সনদপত্র অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রে উল্লিখিত বয়সকে প্রকৃত বয়স হিসাবে বিবেচনার করার লক্ষ্যে সকল বিবাহ নিবন্ধককে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
“যে সকল নোটারি পাবলিক এফিডেফিটের মাধ্যমে নাবালক/নাবালিকার প্রকৃত বয়সকে গোপন করে বাল্য বিবাহে সহায়তা প্রদান করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ”
নির্দেশাবলী পালনে সংশ্লিষ্ট নোটারি পাবলিককে অবহিতকরণের জন্য সকল জেলা জজ, জেলা প্রশাসক এবং আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে অনুরোধ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ