মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিনগত রাত থেকে মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট ও সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজারের কাছে ফতেহপুর গ্রামের ওই দু’টি জঙ্গি আস্তানা ঘেরাও করে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বড়হাটের আস্তানাটি একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে, আর ফতেহপুরের আস্তানাটি একটি একতলা বাড়িতে।
ফতেহপুর থেকে বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্ট বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন ও এমদাদুল হক জানিয়েছেন, ঘিরে রাখা বাড়িটি থেকে কিছুক্ষণ পরপরই গুলি ছুড়ছে জঙ্গিরা। সবশেষ বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার পরও গুলির শব্দ শোনা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সে দু’টি বাড়িই এক লন্ডনপ্রবাসীর। তার নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি সপরিবারে লন্ডনে থাকেন। বাড়ি দু’টি দেখভাল করেন জুয়েল মিয়া নামে সাইফুলের এক আত্মীয়। কিন্তু তার কাছ থেকে কারা ওই দু’টি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলো তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। মৌলভীবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দু’টি আস্তানাতেই জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ রাত থেকেই আস্তানা দু’টি ঘেরাও করে রাখে। ভোররাতের দিকে অভিযান শুরু করলে জঙ্গিরা গুলি করতে থাকে। সকালে একের পর এক গ্রেনেড ছুড়েও মারে তারা।
সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যেও দু’টি জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। সাড়ে ১০টার দিকে বড়হাটের আস্তানার ভেতরে বিকট শব্দে তিনটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। তারপরও কয়েক দফায় বড় হাট ও ফতেহপুরে গুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এদিকে, মৌলভীবাজারের দু’টি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে সোয়াট (সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাক্টিকস) টিম। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সোয়াটের একটি টিম মাইক্রোবাসযোগে ঢাকা থেকে রওনা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এইচএ/
আরও পড়ুন
** ২ জঙ্গি আস্তানার বাড়িই এক লন্ডনপ্রবাসীর
** দিনে দেখা যেতো না বাড়ির কাউকে
** মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানস্থলে যাচ্ছে সোয়াট
** ২ আস্তানায় এক ডজন জঙ্গি!
** ৩ দিন রেকি করে শনাক্ত বড়হাটের জঙ্গি আস্তানা
** মৌলভীবাজারের ২ আস্তানা থেকেই গুলি-গ্রেনেড ছুড়ছে জঙ্গিরা
** মৌলভীবাজারে অভিযানস্থলে র্যাব-ফায়ার সার্ভিস
** জঙ্গিদের হাতে কোনও জিম্মি নেই!
** মৌলভীবাজারে আস্তানা থেকে গ্রেনেড ছুড়ছে জঙ্গিরা
** দুই আস্তানায় জঙ্গিদের হাতে বিপুল অস্ত্র বিস্ফোরক!
** মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় তৎপরতা আতিয়া মহলের মতোই