বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল (তৃতীয়) এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর থানার অলোয়া গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে শাহ আলম (২৮), বীর অলোয়া গ্রামের হাফিজ খাঁর ছেলে রঞ্জু খাঁ (২৫), খোকা শেখের ছেলে নাসির আলী শেখ (৩৫), পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে কামরুল হাসান (২৩), কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মনিহারহাট গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে সাজু মিয়া (২৫), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্দ্রপাশা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন বাপ্পী (২৭) ও বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ রামসিদ্ধি গ্রামের নূর মোহাম্মদ গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম গাজী (২৭) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত অপর আসামি আলামিন মোল্লা, লিটন হোসেন, আলামিন, সবুজ হোসেন, ফজলুর রহমান, মোহর আলী, স্বপন আলী, সাগর আলী, সবুজ বিশ্বাস, আল-আমিন, শামীম হোসেন, শফিকুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, আলামিন, ওয়ারিশ ব্যাপারী, ইকতিয়ার রহমান, বাবুল, সোহেল রানা, সুমন ইসলাম, বশির মোল্লা, মিলন হোসেন, মিলন প্রামাণিক, আব্দুল মান্নান খান পলাতক রয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর শামসুল আলম বাংলানিউজকে জানান, সংঘবদ্ধ এই ডাকাতদল দীর্ঘদিন ধরে বাসে যাত্রী উঠিয়ে ফাঁকা স্থানে নিয়ে ডাকাতি করতেন। একই ভাবে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাসে যাত্রী তুলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। টের পেয়ে স্থানীয়রা দেশি অস্ত্রসহ ২৫ ডাকাতকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় উল্লাপাড়া থানার সেই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া ওই ২৫ জনসহ ৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার দুপুরে এই রায় দেন বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এসআই