শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টা ২৮ মিনিট থেকে শুরু হওয়া অভিযানে সর্বশেষ নীচ তলার একটি ফ্ল্যাটে জিম্মি থাকা পরিবারকে উদ্ধারের মধ্য দিয়ে উদ্ধার অভিযানে সফল হয় সেনারা। উদ্ধারকালে বৈরী আবহাওয়া অপারেশন সফলে সহায়ক হয়।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় অপোরেশন টোয়াইলাইট শেষে জালালাবাদ সেনানিবাসে প্রেসব্রিফিংকালে এ তথ্য দেন সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।
তিনি বলেন, প্রথম পর্বের অপারেশনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওইদিন বেলা ১টার মধ্যে ভবন থেকে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ২১ শিশুসহ ৭৮ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করে কমাণ্ডোরা। এজন্য কমাণ্ডোরা তাদের জীবন বাজি রেখে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে অভিনব কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ সফলভাবে শেষ করতে সক্ষম হন।
২৪ মার্চ সোয়াত সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলেও অভিযান পরিচালনা না করার বিষয়ে ব্রিগেডিযার জেনারেল ফখরুল আহসান বলেন, সোয়াত সদস্যরা তাদের পর্যবেক্ষণ, পরিকল্পনা বিচার বিশ্লেষণ শেষে বাসার অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা, বিস্ফোরক ঝুঁকি ইত্যাদি বিবেচনা করে সেনা সহায়তা কামনা করেন।
দ্বিতীয় দফা জঙ্গি দমন তথা অপারেশন টোয়াইলাইট শুরু হয় বেলা ২টা ৫ মিনিটে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চার জঙ্গিকে হত্যার পর তাদের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর ও বিস্ফোরক দ্রব্য ধ্বংস করার পর আলোচিত আতিয়া মহল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে অভিযানের সমাপ্তি টানে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর এমন অভিযান সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে বলিউডের সিনেমার কাহিনীর চেয়েও দুর্দান্ত বলে অভিহিত করেছে প্রত্যক্ষদর্শী ও সাধারণ জনতা। অভিযান শেষে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে সেনাবাহিনী যখন ফিরে যাচ্ছিলো, তখন তাদের হাত উঁচিয়ে অভিবাদন জানায় স্থানীয়রা। জবাবে সেনা সদস্যরা হাত নাড়িয়ে অভিবাদনের জবাব দেন।
স্থানীয় শিববাড়ি এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, যুদ্ধের বা গুলি বিনিময়ের ছবি সিনেমাতে দেখেছি। কিন্তু বাস্তবে সেনা কমাণ্ডোদের উদ্ধার অভিযান সারা জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
স্থানীয় বাসিন্দা এবাদ নূর বাংলানিউজকে বলেন, সেনা কমাণ্ডোরা অভিযান সফলভাবে শেষ করেছে। একজন লোকেরও ক্ষতি হতে দেননি। অভিযানকালে বাড়ি ছাড়া থাকলেও আমাদের কষ্ট হলেও একটি যুদ্ধ জয়ের সাক্ষী হয়ে থাকলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এনইউ/জেডএম