বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি মাসের ২৩ মার্চ দিনগত রাতে পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তানভির হাসান সুমনের নতুন রুপপুস্থ গ্রামের বাড়িতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
অপরদিকে, এ ঘটনার পরদিন রাত ১২টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস সুমনের পৌর এলাকার রহনপুরস্থ নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয় হামলা করে সন্ত্রাসীরা। সেখানে সুমনকে না পেয়ে নৈশ প্রহরীকে ব্যাপক মারধর করে ভেতরে প্রবেশ করে লটুপাট চালায়। এ সময় সেখানকার তিনটি গাড়ি ভাঙচুর ও ব্যাবসায়িক কাগজপত্র ও মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর সুমন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস সুমন বাংলানিউজকে বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতি করি আর বৈধ উপায়ে দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করি। সেখানে এ ধরনের হামলার বিষয়টি বুঝলাম না। থানায় কয়েকবার গিয়ে অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলাম তারা সেটা গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বাংলানিউজকে বলেন, থানায় অভিযোগ দিতে আসলে আমরা কেন তা গ্রহণ করবো না। তারা না এসে উল্টো দোষ দিচ্ছেন।
পাকশীর ঘটনাটি মূলত এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার পরপরই ওই বাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কেননা নিহত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ি আর ওই ছাত্রদল নেতার বাড়ির দূরত্ব ৩০০ গজ বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এনটি