১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান বর্জন করে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ। এর ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা দিবসে হাইকমিশন আয়োজিত সকল অনুষ্ঠান বর্জন করে বাঙালি কমিউনিটি ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ।
তিনি বাংলানিউজকে অভিযোগ করেন, বর্তমান হাইকমিশনারের দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে প্রবাসীরা অনেক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ঘুষ ও দালাল ছাড়া কোনো কাজ হয় না। দালাল না ধরলে এক ঘণ্টার কাজ সারাদিনেও শেষ হয় না।
হাইকমিশনারের বিএনপি-জামায়াত প্রীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ। গোপনে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের পুনর্বাসন করছেন তিনি। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার উন্মুক্ত হলে যে ১০টি লাইসেন্স তালিকাভূক্ত করা হয়েছে তার সাতটিই বিএনপি-জামায়াতের লোকের।
আর এই লাইসেন্সধারীরা একেকজনের কাছ থেকে আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ সরকার নির্ধারিত করে দিয়েছে মাত্র ৩৭ হাজার টাকা। এতে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আর রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত নেতারা। আর সেই টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে।
তিনি আরো বলেন, হাইকমিশনারের কারণে প্রবাসীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাকে কিভাবে মেনে নেই। আমরা হাইকমিশনারের সব অনুষ্ঠান বর্জন করেছি। তাকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমাদের এই বয়কট অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এসআই/আরআর/বিএস