বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের মমতাজুর রহমান তরফদার সভাকক্ষে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মার্চ মাস বাঙালি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রাণ হারিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের কথা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের প্রকৃত সত্য জানাতে হলে এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মানবিক সম্পর্ক আমাদের সমাজ ও পরিবারে দেখতে পাই। তথ্যপ্রযুক্তির কারণে নানা ধরনের উন্নয়ন করেছে বটে বিশ্ব। গ্রামে বসবাস করেও আমরা একে অপর থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। অন্যের দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করে তাকে হত্যা করছি। এটা থেকে মুক্ত হওয়া আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। এজন্য আমাদের একাডেমিক, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষা দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য নিদর্শন: পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. আয়শা বেগম এবং ‘জ্যোতির্ময় যে জীবন’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বেরা খানম।
‘মুক্তিযুদ্ধ ও ষাটের দশকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: কিছু কথা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এসকেবি/জেডএস