বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বেলা ১টায় বরিশাল নগরের রূপাতলীতে র্যাব-৮ এর সদর দফতরে আয়োজিত সুন্দরবনের জলদস্যু ‘ছোট রাজু’ বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জলদস্যু-বনদস্যুদের একজনও এপথে ভালো ছিলেন না।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখা। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। কিন্তু এর সবকিছুই অর্থহীন হয়ে যাবে, যদি জলদস্যু-বনদস্যু, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ডাকে এক হয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা করছে। আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূল করবো।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এখন আমরা অপরাধীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আহবান জানিয়েছেন। সেই আহবানে সাড়া দিয়ে জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করছেন, তাদের বাবা-মা আত্মসমর্পণ করাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ শান্তি চায়। তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
বেনজীর আহমেদ বলেন, সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তি করতে দেওয়া হবে না। নতুন দুই দস্যুবাহিনীর উদ্দেশে বলবো, এর পরিণতি হবে কঠিন ও ভয়াবহ।
এ সময় নতুন দস্যুদের আত্মসমর্পণের আহবানও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এস এম রুহুল আমিন, পুশিল সুপার এস এম আক্তারুজ্জামান, র্যাব-৮ এর উপ অধিনায়ক মেজর আদনান কবির প্রমুখ।
গত ২৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের পর ২০ জলদস্যুকে আর্থিক সহয়তা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এমএস/আরআর/টিআই