ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৩ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

গাবতলী টু বাবুবাজার সড়ক নয় নর্দমা!

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:১৫, মার্চ ৩১, ২০১৭
গাবতলী টু বাবুবাজার সড়ক নয় নর্দমা! গাবতলী টু বাবুবাজার সড়ক নয় নর্দমা! ‍ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: গাবতলী টু বাবুবাজার বাইপাস সড়ক। যানজটপূর্ণ এই শহরে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করে। যারা শহরে ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

তবে গুরুত্বপূর্ণ এই পাকা সড়কটি ময়লা-আবর্জনা, খানাখন্দ ও দুর্গন্ধে বেহাল দশা ধারণ করেছে। দেখলে মনে হবে সড়ক নয়, নর্দমা।

গাবতলী বাবুবাজার এই সড়কের এক পাশে বুড়িগঙ্গা, ময়লা পানির খাল ও অন্য পাশের অনেকটা জায়গা জুড়ে ট্যানারি ও পাইকারি কাঁচাবাজার। পুরো সড়ক জুড়ে দুর্গন্ধ, ধুলো-বালি ও ময়লার স্তূপ।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) বাবুবাজার-গাবতলী সড়ক সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গাবতলী টু বাবুবাজার সড়ক নয় নর্দমা! ‍ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা
কামরাঙ্গীরচর থেকে সোয়ারি ঘাট আসার পুরো সড়ক কাদামাখা ভাঙাচোরা। কোনো রকমে হেলেদুলে গাড়িগুলো ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। ভাঙাচোরা রাস্তা পার হলে শুরু হয় বুড়িগঙ্গার পানঘাট থেকে পাকা সড়ক। তবে সড়কের দুই পাশে ময়লা পলিথিন, ট্যানারি আবর্জনা, ট্যানারি ঝুট ও বাসাবাড়ির আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কোনো জায়গায় সড়কের মাঝখানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপও দেখা গেছে। আবার কোথাও কোথাও সড়কের পাশে পলিথিন কারখানার মালমালে স্তূপ, সুয়ারেজ লাইনের পাইপও দেখা যায়।

রায়ের বাজার থেকে বেড়িবাঁধের দিকে যেতে চোখে পড়ে সড়কের পাশের খালগুলোর দিকে। ট্যানারির ময়লার কারণের কুৎসিত কালো রঙ ধারণ করেছে খালের পানি। খালের দুই পাশে প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিনসহ রাজ্যের ময়লা-আবর্জনা। বাবুবাজার-গাবতলী এই সড়কের ওপর দিয়ে চলাচলা করে ব্রার্দাস পরিবহন, যানজামিল পরিবহন ও শিকড় পরিবহন।
গাবতলী টু বাবুবাজার সড়ক নয় নর্দমা! ‍ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা
পরিবহনগুলোরও বেহাল দশা। লক্কড়-ঝক্কড় বাসগুলো শহরের বাইরে হওয়ায় নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
 
নির্দিষ্ট বাস স্টপিস না থাকায় যেখানে-সেখানে দাড়িয়ে সড়ক বন্ধ করে ভ্রুক্ষেপহীনভাবে লোক ওঠা-নামা করছে পরিবহনগুলো।

কামরাঙ্গীর চরের বাসিন্দা রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই সড়কটি দিয়ে যানজট না লাগলে খুব দ্রুত গাবতলী, মোহাম্মাদপুর যাওয়া যায়। তবে সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রচণ্ড দুর্গন্ধ, ধুলোবালি,পুরো রাস্তার ওপর ময়লা-আবর্জনা। বর্ষার সময় কাদা-পানিতে রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই দায়’।  
 
শহরের ভেতরের জমা করা সব ময়লা-আবর্জনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এই সড়কের পাশেই ফেলে দিয়ে যায় যোগ করেন রায়হান।
গাবতলী টু বাবুবাজার সড়ক নয় নর্দমা! ‍ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা
অভিযোগকারী বাসিন্দার কথা সত্যতা পাওয়া যায়, সড়কটি কয়েকটি স্থানে সিটি করপোরেশেনের আবর্জনা টানার গাড়িগুলো দেখে।

ব্রার্দাস পরিবহনের হেলপার রবিউল বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাস্তাটার কথা আর বইলেন না। ময়লা-আবর্জনা তো আছেই, তার ওপর ভাঙ্গা শুরু হইছে। সরকারের উচিত এই রাস্তাটার দিকে নজর দেওয়া। কারণ, এদিক দিয়ে গাড়িগুলো চলাচল না করলে গাবতলী-গুলিস্তান সড়কের যানজট অনেক বেড়ে যেতো’।

বাবু বাজার-গাবতলী সড়কটি মেরামত ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে রাজধানীর ভেতরে এই এলাকাটি পর্যটকদের জন্য বেড়ানোর অন্যতম জায়গা করা যেতো বলে মত দেন রায়েরবাজার এলাকার বাসিন্দা তৌহিদ।
 
তিনি বলেন, বাবুবাজার থেকে আমিন বাজার পযর্ন্ত বাসগুলো যায় এই রাস্তায় হয়ে। এই রাস্তার পাশে রায়ের বাজার বধ্যভূমি। বুড়িগঙ্গা নদী, এলাকাগুলো খোল‍ামেলা। সরকার পরিকল্পনা করলে বিনোদনের ভালো স্থান হতে পারে এই জায়গাটি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৫১০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
এমসি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।