শিক্ষক ও স্বজনরা জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে শনিবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এরপর প্রথমে অচিন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের মাথা ঘুরতে শুরু করে এবং তারা বমি করতে করতে দুর্বল হয়ে পড়ে।
এরপর দেবতলা, কবিরপুর, হিতামপুর, হাকিমপুর, পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝাউদিয়া, কাতলাগাড়ি, ষষ্টিবরসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে পরে তাদের ভ্যান, নসিমন ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অবস্থা সামাল দিতে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ চিকিৎসক টিম শৈলকুপা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
খবর পেয়ে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংদস সদস্য আব্দুল হাই, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার মোশাররফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. উসমান গণি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লা ও পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দেখতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান।
শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জান্নাতুল মাওয়া বাংলানিউকে জানান, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গরমের কারণে সাময়িক এ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। বাচ্চারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
এসআই