ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নবজাতক চুরি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নবজাতক চুরি প্রসূতি মায়ের আহাজারি ও চুরি যাওয়া নবজাতক

বগুড়া: বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে চারদিনের ছেলে শিশুকে নানীর কাছ থেকে কৌশলে চুরি করে পালিয়ে গেছেন অচেনা এক নারী। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে তোলপাড় চলছে।  

ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন চুরি যাওয়া নবজাতকের বাবা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, নবজাতকের স্বজনদের দুর্বলতার সুযোগে এ ঘটনা ঘটেছে।


 
শনিবার (০১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটার এ ঘটনা ঘটে।
 
নবজাতক চুরির খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বাচ্চার মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আইনি সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
 
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বগুড়া সদর উপজেলার ঝোপগাড়ি গ্রামের মো. রুবেলের স্ত্রী হোসনে আরা (২৫) প্রসব বেদনা নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের ৩৫নং বেডে ভর্তি হন।   বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন  তিনি। ভর্তির পর থেকেই প্রসূতির সঙ্গে ছিলেন শিশুটির নানী। শুরু থেকেই প্রসূতি মেয়ে ও নবজাতক নাতির দেখভাল করে আসছিলেন তিনি।
 
এরই মধ্যে ওই নানীসহ আশেপাশের বেডে থাকা অন্য রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন হাসপাতালে অবস্থানকারী অচেনা এক নারী। নানা অজুহাতে অচেনা ওই নারী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘোরাঘুরি ও বেডে যাতায়াত করেন।
 
শুক্রবার (৩১ মার্চ) ওয়ার্ডের ১৫নং বেডের মেঝেতে রাতযাপনও করেন ওই নারী। হাসপাতালে ভর্তি না হয়েই এসব কাজকর্ম করেন তিনি।
 
হোসনে আরার স্বামী মো. রুবেল বাংলানিউজকে জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে বাচ্চাকে নিয়ে তার নানী বাইরের রোদে যান। অচেনা ওই নারীও তার সঙ্গে যান। একপর্যায়ে পায়খানা করলে অচেনা নারী বাচ্চাটিকে নিজের কাছে রেখে তার শ্বাশুড়িকে তোয়ালে বা অন্য কাপড় আনতে বলেন। পরে ফিরে এসে বাচ্চাসহ ওই নারীর আর দেখা পাননি। তিনি বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান।
 
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দালালদের চেনেন। কিন্তু রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের চিনে রাখা বা উপস্থিতি লিখে রাখা অত্যন্ত কঠিন কাজ। রোগীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অচেনা ওই নারী বাচ্চাটিকে চুরি করেছেন।

এক্ষেত্রে তাদের কোনো দায়িত্বহীনতা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
 
ডা. তুহিন আরো জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা সবার সঙ্গে কথাও বলেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও ফোন রিসিভ না করায় এ সম্পর্কে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।      
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
এমবিএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।