ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মিয়ানমারের জলসীমা ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
মিয়ানমারের জলসীমা ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা মানচিত্র।

ঢাকা: শুষ্ক মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জলযান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মিয়ানমারের জলসীম‍া ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিব্লিউটিএ)।
বাংলাদেশের সীমানার সর্ব দক্ষিণে একটি ছোট দ্বীপ সেন্টমার্টিন। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য অবলোকনে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত এই দ্বীপ।

এটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অংশে এবং টেকনাফ থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। দ্বীপটির স্থানীয় নাম নারিকেল জিনজিরা।

প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক পর্যটক সেখানে ঘুরতে যায়।

পর্যটক ছাড়াও সেন্টমার্টিনে বসবাসকারীদের খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সারাবছর একমাত্র এই নৌপথ ব্যবহার করেই ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে টেকনাফে যাতায়াত করতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে এই নৌপথে ডুবোচর সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। আর নৌযানই সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।

শুষ্ক মৌসুমে ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশের সীমানা দিয়ে চলাচলের উপযোগী সহজ কোন পথ না থাকায় জলযানগুলোকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময় মিয়ানমারের জলসীম‍া অতিক্রম করতে হয়।

মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমা দিয়ে চলাচলকারী নৌপথে প্রয়োজনীয় নেভিগেশনাল মার্কিং করলে বাংলাদেশসহ উভয় দেশের জলযান নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিব্লিউটিএ) একটি হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে জলসীমা ব্যবহার করতে দুইদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে একটি প্রস্তাব দিয়েছে।
 
এছাড়াও টেকনাফ স্থলবন্দরে যাতায়াতকারী উভয় দেশের  জলযানগুলো এই নৌপথ ধরেই চলাচল করছে। ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই টেকনাফকে নদীবন্দর ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।   নদী বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলে উভয় দেশের মধ্যে যানচলাচল আরও অবাধ করার প্রয়োজন পড়বে।

যদিও বর্তমানে টেকনাফ স্থল বন্দরে যাতায়াতকারী উভয় দেশের মালামালবাহী জলযান ওই নৌপথেই চলাচল করে। এসব বিষয় বিবেচনায় চুক্তি করা হলে টেকনাফ জল ও স্থল বন্দরসহ সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে চলাচলকারী বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশের বাণিজ্য, পর্যটন অবাধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, নাফ নদীর মূলধারা মায়ানমারের দিকে দিয়ে প্রবাহিত। শুষ্ক মৌসুমে অসংখ্য ডুবোচর সৃষ্টি হয়ে চলযান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

ওই সময় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য বিভিন্ন স্থানে নেভিগেশানাল সরঞ্জাম (বয়া, বাতি, বিকন) স্থাপন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এসব কাজ করতে  মিয়ানমারের জলসীমা ব্যবহার করতে একটি সমঝোতা চুক্তি করতে মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান মোজাম্মেল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল: ১, ২০১৭
এসই/জেডএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।