ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ডাবের পানিতে জুড়ায় প্রাণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
ডাবের পানিতে জুড়ায় প্রাণ লক্ষ্মীপুরে ভ্যানে ডাব বিক্রি। ছবি: সাজ্জাদুর রহমান

লক্ষ্মীপুর: চৈত্র মাস। প্রখর রোদ। অসহনীয় গরম। খরতাপে হাঁফিয়ে উঠছে সবাই। ক্লান্তি যেন চেপে বসেছে। পিপাসা মেটাতে ডাবের পানির বিকল্প নেই। তাইতো ডাবের এতো কদর। এই গরমে ডাবের পানিতে প্রাণ জুড়ায়।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের জেলা পরিষদের সামনে দেখা মেলে দু’টি ভ্রাম্যমাণ ডাব দোকানের। একটু সামনে যেতেই দেখা যায় আরো দু’টি ডাব বোঝাই ভ্যান।

ডাবওয়ালা কচি ডাব কাটছেন, পাশে দাঁড়িয়ে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন পথচারীরা। আবার কেউ বাড়ির জন্য কিনে নিচ্ছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল গেটের সামনে ভ্রাম্যমাণ ডাব বিক্রেতা খোকনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, সারা বছর তিনি ডাব বিক্রি করেন। তবে গরমকালে (গীষ্ম ঋতুতে) ডাবের চাহিদা বেশি থাকে। প্রচুর বিক্রি হয়। দৈনিক ২০০ থেকে ২৫০ পিস ডাব বিক্রি করতে পারেন। বিক্রি হয় প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। খোকন আরো বলেন- সব শ্রেণি পেশার মানুষই ডাব পছন্দ করেন। তবে, বেশি ডাব খান ডাক্তাররা।

গরমে মৌসুমী ডাব বিক্রেতার সংখ্যাও বেড়ে যায়। লক্ষ্মীপুর শহরে প্রায় অর্ধশত ভ্রাম্যমাণ ডাবের দোকান রয়েছে। বিক্রেতারা ভ্যান কিংবা রিকশা করে অলিতে-গলিতে ডাব বিক্রি করে থাকেন। এছাড়াও শহরের আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ডাবের দোকানের দেখা মেলে।

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র জামাল উদ্দিন রাফি বলেন, আমি ও আমার বন্ধুরা বাজারের কেমিকেলে ভরা বোতলের কোমল পানি পান করি না, গরমে ডাবের পানি পান করি। ভ্যানগাড়িতে ডাব বিক্রি।

লক্ষ্মীপুর উপকূলীয় জেলা হওয়ায় এখানে প্রচুর নারিকেল ফলে। এমন কোনো বাড়ি নেই, বাড়িতে নারিকেল গাছ নেই। ব্যবসায়ীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ডাব কিনে শহরে এনে বিক্রি করেন। এ মৌসুমে স্থানীয় হাট-বাজারেও ডাব বিক্রি হতে দেখা যায়।

ডাব বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা ১২/১৪ টাকা করে ডাব কিনে শহরে এনে প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেন। এতে তাদের ভালো লাভ হয়।

ডাব ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার এলাকা থেকে সস্তা দামে ডাব কেনা যায়। এছাড়া ভবানীগঞ্জ, আবিরনগর, জকসিন, মান্দারি, রায়পুর রাখালিয়া থেকে ডাব কিনে শহরে এনে খুচরা ও পাইকারি দামে বিক্রি করে থাকেন।

ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের মিষ্টি ডাব চাঁদপুর হয়ে নদী পথে ঢাকায়, সড়ক পথে নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা শহরে নিয়ে বিক্রি করা হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ডা. বাসেদ মাহমুদ জানান,  বাজারে কোমল পানীয়ের চেয়ে প্রাকৃতিক ডাবের পানি নিরাপদ। এটি শরীরের জন্য উপকারী। ডাবের পানি ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে। পানি শূন্যতা পূরণ করে। শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
জেডএম/

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।