ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ মেঘনা থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে মরদেহ। ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।

শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর ডুবুরি দল শিল্পী বেগম (৩২) নামে আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

শিল্পী থাকতেন ঢাকার রামপুরায়।

তার স্বামীর নাম আব্দুস সাত্তার।
 
সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে মরদেহটি নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের ভাই জাকির হোসেনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
 
গত ৩০ মার্চ ও ৩১ মার্চ দুইদিনে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় উদ্ধার করা হয়- বানু বেগম (৪৫) এর মরদেহ। তিনি রামপুরা টিভি টাওয়ার এলাকার হারুন ভান্ডারীর স্ত্রী। তার আগে দুপুরে উদ্ধার করা হয় ঢাকার রামপুরা এলাকার শফিক মিয়ার মেয়ে রুবিনা আক্তার (৩০), রুবিনার মা শাফিয়া আক্তার (৪৬), একই এলাকার জয়বুন নেছা (৬৫) এবং তার দুই মেয়ে রানু আক্তার (৩২) ও সান্তা আক্তার (২৮) এর মরদেহ।
 
৩০ মার্চ বিকেলে ৩০ থেকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানী রামপুরা থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার মতলবের বেলতলি সোলেমান শাহ ওরফে লেংটার মেলায় যাচ্ছিল। বিকেল ৪টার দিকে সোনারগাঁওয়ের চর কিশোরগঞ্জ এলাকাতে মেঘনার ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালিয়ে এক শিশু, দুই নারীসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। ওই সময়ে উদ্ধার হওয়া ৪ জন হলো ঢাকার রামপুরা এলাকার আব্দুস সাত্তার (৪০), তার মেয়ে লামিয়া (৫), জোহরা বেগম (৬০) ও  কাঞ্চন বেগম (৬৫)।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
আরআইএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।