এতে বলা হয়েছে, ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের কোথাও কোনো আঘাত বা নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ময়নাতদন্তকারী টিম ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. মনসুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মডেল ও মেডিকেল কলেজ ছাত্রী রাওদা আতিফের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মনসুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়।
রওদার মরদেহ ময়নাতদন্ত টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক ও সাবেক অধ্যাপক এমদাদুর রহমান।
এর আগে শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজশাহীর হেতমখাঁ গোরস্থানে মালদ্বীপের মেয়ে রাওদা আতিফের মরদেহ দাফন করা হয়। তার জানাযার নামাজ পড়ান মহানগরীর হেতমখাঁ গোরস্থান জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।
রাওদার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ ভাই হাসান আতিফসহ ইসালামী মেডিকেল কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানাযার নামাজে অংশ নেন। এছাড়া দাফনের জন্য রাওদা আতিফের মরদেহ গোরস্থানে আনা হলে মা আমিনাথ মুহারমিমাথের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আইশাদ শান সাকির ও কমনওয়েলথের সেকেন্ড সেক্রেটারি ইসমাইল মুফিদসহ তার কলেজের সহপাঠী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন।
এ সময় পরিবার ও কলেজের সহপাঠীরা রাওদা অতিফকে শেষ বিদায় জানান।
গত বুধবার (২৯ মার্চ) রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রাওদার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
এই মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১৩তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রাওদা। বিদেশি কোটায় ভর্তির পর গত বছরের ১৪ জানুয়ারি মহিলা হোস্টেলের দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষে ওঠেছিলেন রাওদা আতিফ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
এসএস/জেডএম