উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহীর সন্তান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটসহ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেওয়া হয়।
অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী বজলার রহমান বাদল, রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, সাবেক ডেপুটি মেয়র আবদুল হাদি, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মুহা. হবিবুর রহমান, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মফিজ উদ্দিন মোল্লা, পিএন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদ আরা, প্রকৌশলী ফেরদৌস শাহানাজ কান্তা ও সাংবাদিক আবু সালে মোহাম্মদ ফাত্তা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আনুষ্ঠানিকতার জন্য ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে সোমবার (০৩ এপ্রিল) থেকে পর্যায়ক্রমে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে যখন আমরা কাগজে লেমিনেটেড করা জাতীয় পরিচয়পত্রটি তৈরি করি, তখনই আমরা এর গুরুত্ব বুঝতে পারি। তখন আমি নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব ছিলাম। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একে স্মার্ট করে তোলার। তারপর বিদেশি সাহায্য আর সরকারের প্রচেষ্টায় তা করা সম্ভব হয়েছে। ’
অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিষয়ক উপস্থাপনা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, রাজপাড়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রামানিক উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর এবার রাজশাহীর নাগরিকদের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হলো। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
এসএস/জেডএস