অসুস্থ শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে অনেকেই চিকিৎসাধীন থাকলেও কিছু শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে।
গাঁড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি শেষে শিক্ষার্থীদের এক সঙ্গে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়। ওষুধ খাওয়ানোর এক ঘণ্টার মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তাজমিরা খাতুন ও সূবর্ণা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর একে একে একই শ্রেণির লামিয়া খাতুন, শিখা খাতুন, জুই, কাকলী খাতুন, খুশি আরা, পিংকী খাতুন, বৃষ্টি আক্তার, জ্যোতি আক্তার, লাকি খাতুন, সুরাইয়া আক্তার, রত্না খাতুন, সপ্তম শ্রেণির মাহি ও ইব্রাহীম হোসেন আজমিরা জামি, নাজমা খাতুন, তন্নি, রীমা খাতুন, মৌ আক্তার, শিখা খাতুন, জ্যামি আক্তার, শিখা খাতুন, প্রত্যাশা, শাকিলা খাতুন, অষ্টম শ্রেণির রুশি খাতুন, মৌ খাতুন, মৌ আক্তার, মূর্শিদা খাতুন, লিজা খাতুন, শিখা খাতুন, রুশি খাতুন, নবম শ্রেণির পিংকী খাতুন, জাহিদ হোসেন, নাহিদ হোসেন, শারমীনা আক্তার, ১০ম শ্রেণির শারমীন আক্তার ও মিম আক্তারসহ প্রায় ৬০ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী বিথী ইয়াসমিন তানহা বাংলানিউজকে জানান, ওষুধ খাওয়ানোর কিছুক্ষণ পর মাথা ও পেট ব্যথার একপর্যায়ে বমি শুরু হয়।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শামিমা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা অনেকটাই সুস্থ রয়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে গাংনী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম জামাল আহমেদ অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের খোঁজ খবর নেন ও তাদের সুচিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
আরবি/আরএ