ঢাকা, শনিবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পাহাড়িদের জমির স্থায়ী মালিকানার বিষয়ে ভাবছে সরকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৭
পাহাড়িদের জমির স্থায়ী মালিকানার বিষয়ে ভাবছে সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠক

ঢাকা: তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়িদের জমি লিজের পরিবর্তে স্থায়ীভাবে মালিকানা দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (০৩ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

সুত্র জানায়, বৈঠকে জনস্বার্থে ধর্মীয় উপাসনালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষমতা রেখে ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে এ বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের যে জমি লিজ দেওয়া হয়েছে সেটা তাদের স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দিয়ে মালিকানা হস্তান্তর করা যেতে পারে। এই লিজের পরিবর্তে পাহাড়িদের জমির স্থায়ী মালিকানা দেওয়া যায় কি না সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা যেতে পারে।

সুত্র আরও জানায়, বিষয়টি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ‍ূমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।

ব্রিটিশ আমলে করা আইন অনুযায়ী হেড ম্যান-এর সুপারিশে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের মধ্যে জমি লিজ দেওয়া হয়। এভাবে জমি লিজ নিয়ে পাহাড়িরা চাষাবাদ করে আসছেন। তবে জনসংহতি সমিতিসহ পাহাড়িরা দীর্ঘ দিন ধরে জমির স্থায়ী মালিকানার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

এ দিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে ঢাকা, মাওয়া (পদ্মা সেতু), খুলনা হয়ে কলকাতায় নতুন বাস সার্ভিস চালুর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
 
স‍ূত্র জানায়, খসড়ায় খুলনা থেকে কলকাতা নতুন বাস সার্ভিস রুটের কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খুলনা থেকে কলকাতা বাস সার্ভিস খুব একটা লাভজনক হবে না। বরং ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে খুলনার পর যশোর হয়ে কলকাতা এই নতুন রুট চালু করা যেতে পারে। এই রুটে দূরত্বও কমে আসবে। সে ক্ষেত্রে খুলনার যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহের বিধান রাখা যেতে পারে।

পরে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী মন্ত্রিসভায় এই নতুন রুটের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ চুক্তির আওতায় এখন কলকাতা যাওয়ার নতুন রুট হবে ঢাকা-মাওয়া-গোপালগঞ্জ-খুলনা-যশোর-বেনাপোল হয়ে কলকাতা।

** সিনেমায় ধর্ষণের দৃশ্য নয়

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।