তদন্তে শেষে মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) সকালে মাহিনের চাচা সুজন (১৮) ও শহিদুল ইসলামকে (২৫) আটক করে পুলিশ। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে সাভার নতুন ট্যানারি এলাকা থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করে।
নিহত মাহিন দক্ষিণ পাইকপাড়ার ৩৮৭/১বি বাসার ভাড়াটিয়া রিকশাচালক মহিউদ্দিনের ছেলে। ভোলার লালমোহন উপজেলার হরিগঞ্জ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা তারা।
মহিউদ্দিন জানান, তার একমাত্র ছেলে মাহিন মিরপুর ৬০ ফুট এলাকার আলোর পথ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। গত ১২ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুল ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হয় সে।
তিনি জানান, অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। ১৩ মার্চ সকালে তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে এবং বলে, ‘তোর ছেলে মাহিন আমাদের কাছে আছে। ৫ লাখ টাকা দিবি, নইলে মেরে ফেলবো’।
‘আপনি কে? কোথা থেকে বলছেন?’ জিজ্ঞেস করলে পরে ফোন কেটে দেয় এবং বন্ধ করে রাখে। বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ মোবাইল নম্বর দিয়ে তদন্ত শুরু করে।
মহিউদ্দিন আরও জানান, মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ মাহিনের চাচা সুজনকে (১৮) বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে শহিদুল ইসলাম (২৫) নামে আরও একজনকে আটক করে।
মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান জানান, সুজন ও শহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাহিন হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাদের সঙ্গে সাব্বির নামে আরও একজন ছিলেন বলেও জানান। পলাতক সাব্বিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এসআই জানান, তাদের কথা মোবাইলে রেকর্ডিং করা হয়েছে এবং টাকা পাবেন না ভেবে মাহিনকে ফিতা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ইটের ব্লক দিয়ে চাপা দিয়ে রাখেন আসামিরা। তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে সাভার থানা পুলিশের সহায়তায় মাহিনের মাথার খুলি ও শরীরের হাড় উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এজেডএস/এএসআর