ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘মার পোড়ে না, পোড়ে মাসির’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৭
‘মার পোড়ে না, পোড়ে মাসির’ বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী/ছবি: পিআইডি

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকার ও নিজের দ্বারা দেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারত সফরের আগে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে অনেক কথা বলবেন, নিজের বিবেক যদি ঠিক থাকে, দেশপ্রেম থাকে। আমার দেশের ক্ষতি অন্তত আমাদের দ্বারা হবে না।

বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটির প্লটের বরাদ্দপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি ভারত যাচ্ছি আর তাদের প্যানপ্যানানি শুরু হয়ে গেছে। এই চুক্তি হলে মানবো, ওই চুক্তি হলে মানবো না... তারা কি মানলো না বা মানলো তাতে কার কি আসে যায়।

সফর নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যকারীদের সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, গঙ্গা পানি চুক্তির সময়ও বলেছিল পাঁচ বছরে না হলে মানবো না, দুই বছরে না হলে মানবো না। আমরা ৩০ বছর মেয়াদী চুক্তি করি।

‘নিজেরা করতে পারবে না। অন্যরা করতে গেলে শর্ত দেবে তা হয় না। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এলাকায় বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি ধামায় ধান নেয়। মনে হয় সেই ধামায় করে দেশ নিয়ে যাচ্ছি, ফেরি করে বিক্রি করে দিয়ে আসবো। তাদের কথা শুনে এটাই মনে হচ্ছে।

‘কথায় বলে মার পোড়ে না, পোড়ে মাসির। এরাতো সেইভাবে বলে যাচ্ছে। ’

স্থলসীমা চুক্তি ও সমুদ্রসীমানা চুক্তি, গঙ্গা চুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের কাছ থেকে অধিকার আদায়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া কে কি করেছে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপিকে জিজ্ঞেস করবো তাদের জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া দু’জনই ক্ষমতায় ছিলেন। তারা কি করেছেন?

‘এরপর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় ছিলেন, তিনিও কোনোদিন তোলেননি কথা। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কোন দিন একথা তুলেছে? বা ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করেছে? বা কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? নেয়নি। তারা একথা ওঠানোর সাহস পায়নি কেন। তাহলে দালালিটা কে করেছে? আর আমরা তো বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখে একের পর এক অধিকার আদায় করে নিচ্ছি।

সমুদ্রসীমা চুক্তি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা কাজ শুরু করি। এরপর বিএনপি ৫ বছর ক্ষমতায় ছিলো, ২ বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো, একটু কাজও করেনি তারা। ২০০৯ ক্ষমতায় এসে অল্প সময়ে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে মামলা করি এবং জয়ী হই।

ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির বিষয়ে হাসিনা বলেন, সেটাকেও এক সময় তারা বলে গেছে গোলামীর চুক্তি। তারপর দেখা গেলো সেই চুক্তি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ লাভবান। গোলামী না, বরং অনেক কিছু বাঙালি পেয়েছে।

দেশের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশকে একটা অবস্থায় নিয়ে এসেছি। সারা বিশ্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।