বুধবার (০৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় প্রিন্সেস মেরি ও মন্ত্রী উলা টোরনাস বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া গ্রাম পরিদর্শন করেন। সেখানে কৃষক মাঠ স্কুলে কৃষক-কৃষাণীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
পরে কৃষক-কৃষাণীরা পশু পালন, মাছ চাষ, কৃষি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সম্পর্কে রাজকুমারী ও মন্ত্রীকে অবগত করান। মতবিনিময় শেষে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন খামার ও বাড়ি পরিদর্শন এবং ওই গ্রামে বাস্তবায়নাধীন ডানিডার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন তারা।
এ সময় প্রায় আড়াই ঘণ্টা তারা গ্রামের নারী কৃষাণীদের সঙ্গে আন্তরিক সময় কাটান। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষুদ্র কৃষি খামারের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া বিভিন্ন নারীদের মুখে তাদের দারিদ্র্য জয়ের গল্প শোনেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ডেনমার্কের রাজকুমারী মেরি বলেন, পল্লী নারীদের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। বাড়িতে ক্ষুদ্র কৃষি খামার গড়ে তুলে তারা নিজেদের স্বাবলম্বী করার মাধ্যমে পরিবারের অভাব দূর করেছেন। নিজেদের সাহস, আত্মবিশ্বাস ও শ্রম দিয়ে দারিদ্র্য জয় করেছেন যা আজ সত্যিই উন্নয়নের একটি মডেল।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে কাজ করছে ডেনমার্ক। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন বন্ধু হিসেবে সবসময় এদেশের পাশে থাকবে ডেনমার্ক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশস্থ ডেনমার্ক রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেমিনিটি উইন্টারসহ ডেনমার্ক দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরিদর্শন শেষে বুধবার বিকেলে হেলিকপ্টারযোগে বরিশাল ত্যাগ করেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ও তার সফরসঙ্গীরা।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টায় দু’টি হেলিকপ্টারে করে ডেনমার্কের রাজকুমারীসহ তার ৩৭ জন সফরসঙ্গী বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ সময় বিমানবন্দরে রানীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান বাবুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় ও স্থানীয় দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান।
দারিদ্র দূরীকরণ এবং আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া গ্রামে উন্নত পদ্ধতিতে ধান, সবজি,ফলমূল ও মাছ চাষ এবং পশু পালন কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ডেনমার্ক। এ প্রকল্পগুলো এলাকার মানুষের কতোটা উন্নয়ন করতে পারছে তা সরেজমিনে দেখাই এই পরিদর্শনের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এমএস/এএটি/আরআই