যুদ্ধমুখর দিনগুলোর উপাখ্যান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, শরণার্থীশিবিরে মানুষের মানবেতর জীবনযাপন, বিপন্ন-অসহায় মানুষের আর্তনাদ উঠে এসেছে বেশিরভাগ ছবিতে।
আবার রক্তস্নাত বাংলাদেশ, শত্রুসেনাদের বিরুদ্ধে বীর সেনানীদের লড়াই ও বীরত্বগাথার দলির এসব ছবি জানান দিয়েছে বাঙালির শক্তি ও সাহসের।
নেত্রকোণার পূর্বধলা জগৎমণি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ফটো গ্যালারির সারসংক্ষেপ ছিল এমনই।
বুধবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব ছবি উদ্বোধনের পর ঘুরে ঘুরে দেখতে গিয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও প্রতিটি ছবিতে হয়ে উঠেছিলেন জীবন্ত। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের নানা মুহূর্ত যেন বাঙালি জাতিকে টেনে নিয়ে যায় উত্তাল সময়ে।
বঙ্গবন্ধুর তর্জনী আবার যেন নির্দেশ করলো বাঙালির মুক্তির ঠিকানা, জীবনের জয়গান। বঙ্গবন্ধুর মার্চের ভাষণ ও উদ্দীপ্ত জনতার ছবি দেখিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাংলানিউজকে বলছিলেন, বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে আক্ষরিক অর্থেই রূপ দিতে একজন সাধারণ মানুষ হয়েই বঙ্গবন্ধু নেমেছিলেন মুক্তির বারতা নিয়ে। স্বাধিকারের কথা উচ্চারণ করে অবলীলায় কারাবরণ করেছেন। মুক্তির চেতনায় গোটা জাতিকে উজ্জীবিত করেছেন। বজ্রকন্ঠে উচ্চারণ করেছেন ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। ’ তিনি আমাদের চেতনার বাতিঘর।
মন্ত্রীকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফটো গ্যালারি দেখাচ্ছিলেন নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও পাকিদের শোষণ-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতেই এ ফটো গ্যালারির আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে এ ফটো গ্যালারি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রজন্মকে আগ্রহী করে তুলবে। এটা সব সময় উন্মুক্ত রাখতে হবে। যাতে করে সবাই দেখতে পারে পারে।
পরে মন্ত্রী জগৎমণি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নব-নির্মিত তিন তলা ভবনের উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে গ্যালারি উদ্বোধন উপলেক্ষে এক আলোচনাসভায় মিলিত হন।
এতে সভাপতিত্ব করেন নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এমএএএম/জেএম