বৃহ:স্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. সাজেদুল ইসলাম পলাশ শ্রীমঙ্গল শহরের পূর্বাশায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত হারুন শ্রীমঙ্গল শহরের পূর্বাশা এলাকার ছনব মিয়ার ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাতে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সন্তোষ চৌধুরীসহ তিন কাপড় ব্যবসায়ী নরসিংদীর বাবুর হাট থেকে কাপড় কিনে ট্রাকযোগে হবিগঞ্জ ফিরছিলেন।
সরাইল বিশ্বরোডে এলে ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারের সহযোগিতায় সায়েদুর নামে এক ব্যক্তি তিন ব্যবসায়ীকে চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। গাড়ির পেছনে থকা দুই ব্যবসায়ী অজ্ঞান হয়ে গেলে তাদের রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।
কিন্তু সন্তোষ চৌধুরী পুরোপুরি অজ্ঞান না হওয়ায় এক পর্যায়ে চেতনা ফিরে পেয়ে সঙ্গী ব্যবসায়ীদের না পেয়ে ট্রাকচালকের কাছে জানতে চায়।
এ সময় সায়েদুর, ট্রাকচালক হারুন ও হেলপর মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে মাধবপুর উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার একটি ধান ক্ষেতে কাদামাটিতে পুঁতে রেখে কাপড় নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরদিন মাধবপুর থানা পুলিশ ব্যবসায়ী সন্তোষের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তার ভায়রা ভাই তপন দাস বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম