বুধবার রাত থেকে বৃহ:স্পতিবার দিনব্যাপি অভিযান চালিয়ে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় একটি রাম দা।
বৃহ:স্পতিবার (৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় নগরের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার বাসিন্দা এবং ওষুধ ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান সুমন বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এসব আসামির অধিকাংশই বরিশালের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র।
কোতয়ালি মডেল থানায় সেকেন্ড অফিসার এসআই আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে কলেজ ছাত্র সৌরভ বালা, স্কুল ছাত্র সাগর হাওলাদার, রিফাতুল ইসলাম, তানভির আহসান জিয়াদ, শোভন বিশ্বাস, তৌসিক হাওলাদার, নাজিম উদ্দিন রাতুল, আব্দুল্লাহ আল তামিম এবং আরমান শরীফ রয়েছে। আটককৃতরা সবাই নগরীর বিএম স্কুল, মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উদয়ন এবং একে ইনস্টিটিউট এর বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র।
এছাড়া হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত বাকি চার পালাতক আসামি হলো- রাজু, হাসান, অর্নব এবং শুভ।
পালাতক আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার দায়িত্বে থাকা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বুধবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রথমে জিলা স্কুল মোড়ে মারামারি করে। এসময় সদর রোড এলাকার মামুন মাইক এর কর্মচারী নুরুল আলমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম ও রাসেল নামে তার অপর সহযোগীকে পিটিয়ে আহত করে শিক্ষার্থীরা। পরে নগরের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও মোটরযানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা।
এসময় ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার বাসিন্দারা হামলাকারী স্কুল ছাত্র সৌরভ বালাকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ একে একে ৯ জনকে আটক করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৭
এমএস/জেডএম