শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ভোরে সাতক্ষীরা সদরের পালাশপোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ ইয়াসমিন হোসেন টুম্পা (২০) পলাশপোল গ্রামের মামুনুর রশিদের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর চাচা ইব্রাহিম হোসেন মধু বাংলানিউজকে জানান, দুই বছর আগে তার ভাইজির সঙ্গে পুরাতন সাতক্ষীরার মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে ফারুখ হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ফারুখ স্ত্রী সন্তান নিয়ে পালাশপোল এলাকায় ভাড়া থাকতেন। ফারুখ মাদকাসক্ত ছিলেন, কোন কাজ করতে না।
বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই ফারুক টুম্পাকে মারধর করতেন। টুম্পার বাবা ভ্যানচালক মামুনুর রশিদ মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছেন।
ঘটনার দিন ফারুখ টুম্পাকে মেরে তার শ্বশুরের কাছে রাত ২টার দিকে ফোন করে বলে, আপনার মেয়ে অসুস্থ তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। টুম্পার বাড়ির লোকজন গিয়ে দেখেন বাড়িতে কেউ নেই। তারপর তারা হাসপাতলে গেলে মেঝেতে টুম্পার মরদেহ থাকতে দেখেন। মরদেহের পাশে কেউ নেই। এরপর তারা ফারুককে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, ০৭ এপ্রিল, ২০১৭
আরএ