শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি), রমনাতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ৯ম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।
রেহমান সোবহান বলেন, এমন একটি সমাজ থাকবে যেখানে জাতি ধর্মের কোনো বিভেদ থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশকে সুন্দর করে গড়ে তোলার দায়িত্ব সবার। অধিকার কখনও এমনিতে আদায় হয় না। তবে যেটা অধিকার নয় সেটা নিয়েও আন্দোলন করা ঠিক নয়। দেশের স্বার্থে কিংবা ন্যায্য অধিকার আদায়ে সবাইকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে। দেশকে নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। কিংবা কোনো ধর্মের ওপর আক্রমণ সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা আইনের দৃষ্টিভঙ্গি ও সংবিধানের মধ্য দিয়ে সমাজ নির্মাণ করতে পারিনি। এই দেশের মাটি অসম্প্রদায়িকতার। এখানে কোনো জঙ্গি-দানবের জায়গা নেই। কিন্তু খালেদা জিয়া জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়ে দেশকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন। তিনি কখনো চান না দেশের উন্নয়ন হোক। আর জঙ্গির সঙ্গী সিন্ডিকেটের প্রধান হচ্ছেন খালেদা জিয়া। তিনি বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেন, তার মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তাই অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তুলতে হলে খালেদা জিয়াকে বয়কট করতে হবে।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, আগামীতে আমরা ক্ষমতায় গেলে সংসদীয় আসনে কোটার ব্যবস্থা থাকবে। চাকরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে যেন সনাতন ধর্মের কেউ বঞ্চিত না হয় সেভাবে ইশতেহার করা হবে। নিরাপত্তা রক্ষায় আইন প্রণয়ন করা হবে। মন্দির ও উপাসনালয়ে যেন কোনো ধরনের হামলা না হয় সেটার দিকেও নজর রাখা হবে। শুধু তাই নয়, সকল ধর্মের মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে তার ব্যবস্থা করবে তাদের সরকার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৭
এসজে/এমজেএফ