শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আল আমিন জামালপুরের মেলান্দহ থানার সাধুপুর এলাকার কাশেম মোল্লার ছেলে।
নিহতের বড় ভাই মো. মিলন মোল্লা জানান, দেওলিয়াবাড়ি এলাকায় আব্দুর রহমানের বাসা বাড়িতে ছোট বোনের সঙ্গে ভাড়া থেকে স্থানীয় ডানো কারখানায় চাকরি করতো আল-আমিন। মাদকাসক্ত ছিল আল-আমিন। মাদকাসক্তকেই কেন্দ্র করে তার সঙ্গে জয়দেবপুর থানাধীন কোনাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে। এরপর থেকে সে তার সোর্স হিসাবে কাজ শুরু করে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ সময় আল আমিন কোনাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পেই সময় কাটাতো। শুক্রবার দুপুরে এএসআই আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকায় জুয়ার আসরের খবর নিতে যায়। ওই খবর আনতে গিয়ে জুয়ারিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
নিহত আল-আমিন তার কোনো সোর্স ছিল না বলে অস্বীকার করে কোনাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, দেওলিয়াবাড়ি পেয়ারা বাগান এলাকায় দুপুরে দুর্বৃত্তরা আল-আমিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
খবরে পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতল মর্গে পাঠায়। এঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান এএসআই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৭/ আপডেট ১৮২৯
আরএস/বিএস