শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের সুজাপুর এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত নারীর স্বামী পল্লি চিকিৎসক সাধনা নন্দন চৌধুরীকে (৬৩) আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সাধনার দুই স্ত্রী। তবে কপতির সঙ্গে থাকতেন না সাধনা। দ্বিতীয় স্ত্রী প্রতিমার সঙ্গে বসবাস করতেন।
বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে সাধনার চিকিৎসা চেম্বারে প্রতিমা ও তার ছেলে আকাশসহ স্বামীর সঙ্গে কাটাকাটির হয় কপতির। এ ঘটনার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না কপতিকে। স্ত্রীর নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন সাধনা।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব বাংলানিউজকে জানান, কপতিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ছাইয়ে পরিণত করতে মরদেহে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে হত্যাকারীরা। দীর্ঘদিন সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকা স্ত্রীর নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করার ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্বামী জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য কপতির মরদেহ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৭
এএটি/আইএ