রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেলে পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
এর আগে, প্রতারিত হওয়া মেয়েটির মা নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে শাকিল মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শাকিল মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের শাইনদহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, শাকিল মিয়ার সঙ্গে শ্যামার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। হঠাৎ করেই শাকিল শ্যামার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলা সদরের বল্লমঝাড় ইউনিয়নের সোনাইডাঙ্গা গ্রামের দুলা মিয়ার মেয়ে টুনি খাতুনের সঙ্গে শাকিলের বিয়ের আয়োজন করে পরিবার। পরে বিষয়টি শ্যামা জানতে পেরে ওই দিন বিকেলে বিয়ের দাবিতে শাকিলের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর শাকিলের পরিবারের লোকজন শ্যামাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে শ্যামা সেখানেই বিষপান করেন।
পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি থানায় জানালে ওসি মাহমুদুল আলম নিজেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
শ্যামা সুস্থ হয়ে রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বাড়ি ফিরেছেন বলেও জানান ওসি।
শ্যামা আকতার পলাশবাড়ী উপজেলার আসমতপুর গ্রামের আব্দুল গোফ্ফার মিয়ার মেয়ে। সে পলাশবাড়ী আদর্শ ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ০৯ এপ্রিল, ২০১৭
আরএ